|
|
|
|
নাবালিকা ধর্ষণে গ্রেফতার প্রৌঢ়
নিজস্ব সংবাদদাতা • খড়্গপুর |
হাঁড়িয়া খেতে এসে নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল এক প্রৌঢ়ের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার বিকেলে ঘটনাটি ঘটেছে ডেবরার জলিমান্দা গ্রাম পঞ্চায়েতের আসমতপুর গ্রামে। বুধবার বিকেলে ওই নাবালিকার পরিবারের তরফে ডেবরা থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। অভিযুক্ত নারায়ণ সরেনের বাড়ি পাশের গ্রাম কৃষ্ণপুরে। স্থানীয় তৃণমূল কর্মীরা টাকা দিয়ে বিষয়টি মিটমাট করতে চেয়েছিল বলেও ওই নাবালিকার পরিবারের অভিযোগ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী ওই নাবালিকার বাবা পেশায় চাষি। তবে বছরের বিশেষ বিশেষ দিন বাড়িতে হাঁড়িয়া ব্যবসাও করেন তিনি। মঙ্গলবার সরস্বতী পুজো উপলক্ষে হাঁড়িয়া তৈরি করেছিলেন ওই কিশোরীর বাবা। দুপুরে তিনি চাষের কাজে জমিতে যান। আর বাপের বাড়িতে গিয়েছিলেন ওই নাবালিকার মা। বাড়িতে একাই ছিল বছর বারোর মেয়েটি। নারায়ণ হাঁড়িয়া খেতে এসে জোর করে ঘরে ঢুকে ওই নাবালিকার হাত বেঁধে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ।
সন্ধেয় বাবা-মা বাড়ি ফিরলে সে সব কথা খুলে বলে। গ্রামেও বিষয়টি জানাজানি হয়। অভিযুক্ত প্রৌঢ়কে পাকড়াও করে রাতেই গ্রামবাসীরা পুলিশে খবর দেন। ডেবরা থানার পুলিশ অভিযুক্তকে থানায় আটক করে নিয়ে যায়। বুধবার সকালে ওই নাবালিকার বাবা থানায় পৌঁছন। অভিযোগ, তখন গ্রামের কিছু তৃণমূল কর্মী নাবালিকার মা-কে থানায় অভিযোগ না করার পরামর্শ দেন। কয়েক হাজার টাকার প্রস্তাবও দেওয়া হয়।
ওই নাবালিকার বাবা বলেন, “হাঁড়িয়া খেতে এসে নারায়ণ সরেন আমার মেয়েকে ধর্ষণ করেছে। আমি থানায় গেলে নারায়ণের পক্ষ নিয়ে কিছু তৃণমূলের লোক স্ত্রীকে টাকা দিতে চায়। কিন্তু আমি দোষীর শাস্তি চেয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি।” এরপরই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়। তবে তৃণমূলকর্মীদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ প্রসঙ্গে ব্লক তৃণমূল সভাপতি রতন দে বলেন, “যদি তৃণমূলের কেউ টাকা দিয়ে রফার কথা বলে থাকেন এবং তা প্রমাণিত হয় তবে তাঁকে দল বহিষ্কার করবে।” |
|
|
|
|
|