|
|
|
|
কৃষি যন্ত্রপাতি কেনায় ভর্তুকি কী ভাবে, বৈঠক
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
চলতি আর্থিক বছরে কৃষি যন্ত্রপাতি কেনার ক্ষেত্রে কৃষকদের প্রায় ৮ কোটি টাকা ভর্তুকি দেওয়ার সুযোগ রয়েছে। এই সুবিধে কী ভাবে কৃষকদের কাছে পৌঁছবে, তা নিয়ে এক বৈঠক হল মেদিনীপুরে। বুধবার কৃষি ভবনে এই বৈঠকে ছিলেন উপ-কৃষি অধিকর্তা (প্রশাসন) নিমাইচাঁদ রায়, জেলা পরিষদের কৃষি কর্মাধ্যক্ষ নির্মল ঘোষ, সহ-কৃষি অধিকর্তা (কটন) উজ্জ্বলবরণ প্রধান। ছিলেন মহকুমা এবং ব্লকের কৃষি আধিকারিকেরাও। কৃষি যন্ত্রপাতি বিক্রি করেন, এমন অনুমোদিত এজেন্সির কর্তাদেরও বৈঠকে ডাকা হয়। বৈঠকে বেশ কিছু সিদ্ধান্ত হয়েছে। সরকারি সুবিধে পেতে গিয়ে কৃষকেরা যাতে কোনও ভাবেই সমস্যায় না পড়েন, সেদিকে নজর রাখার নির্দেশ দেন কৃষি কর্মাধ্যক্ষ। বৈঠক শেষে তিনি বলেন, “শীঘ্রই কৃষি যন্ত্রপাতি কেনার ক্ষেত্রে কৃষকদের ভর্তুকি দেওয়া হবে। এ জন্য স্কিম রয়েছে। বৈঠকে তা নিয়েই আলোচনা হয়েছে। এজেন্সিকে
ডাকা হয়েছিল। তাদেরও কিছু নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।”
জেলা যে পরিমাণ অর্থ পেয়েছে, তাতে চলতি আর্থিক বছরে ৫-৬ হাজার কৃষক কৃষি যন্ত্রপাতি কেনার ক্ষেত্রে ভর্তুকি পেতে পারেন। জানা গিয়েছে, সরকারি সুবিধে পেতে কৃষকদের শুরুতে ব্লকস্তরে আবেদন করতে হবে। পরে ওই আবেদন জেলায় এসে পৌঁছবে। এরপর ব্লকস্তর থেকে আসা আবেদন খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে। এ ক্ষেত্রে কৃষকেরা ৫ হাজার থেকে ৪৫ হাজার টাকা পর্যন্ত ভর্তুকি পেতে পারেন। এ জন্য দু’টি প্রকল্প রয়েছে। একটিতে ট্রাক্টর, স্বয়ংক্রিয় ধান রোয়ার যন্ত্র, স্বয়ংক্রিয় ধান ঝাড়াই যন্ত্র, স্প্রে মেশিন, পাম্প সেট, কীটনাশক ছড়ানোর মেশিন প্রভৃতি কেনা যেতে পারে। অন্য প্রকল্পটিতে আগাছা কাটার যন্ত্র, কোদাল কেনা যেতে পারে।
কৃষি কর্মাধ্যক্ষ বলেন, “বৈঠকে কৃষকদের স্বার্থ সুরক্ষিত করার উপরই জোর দেওয়া হয়েছে। গত বছর কিছু সমস্যা হয়েছিল বলে শুনেছি। এ বার যাতে তা না হয় দেখতে বলেছি।” কেমন সমস্যা? জেলা কৃষি দফতরের এক আধিকারিক বলেন, “কৃষকেরা অনুমোদিত এজেন্সির কাছ থেকে যন্ত্রপাতি কেনেন। আর ভর্তুকির টাকা ব্যাঙ্কের মাধ্যমে এজেন্সিগুলোর কাছে পৌঁছয়। গত বছর আমাদের কাছে অভিযোগ এসেছিল, ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ হয়রান করছেন। এছাড়াও অভিযোগ এসেছিল, এজেন্সি হয়রান করছে। নিম্নমানের যন্ত্রপাতি দিচ্ছে। অভিযোগ খতিয়ে দেখে পদক্ষেপ করা হয়েছে।”
জেলা কৃষি দফতরের এক সূত্রে খবর, চলতি আর্থিক বছরে ওই দু’টি প্রকল্পের মধ্যে একটিতে প্রায় ৭ কোটি টাকা এবং অন্যটিতে প্রায় ১ কোটি টাকা ভর্তুকি দেওয়ার সুযোগ রয়েছে। ওই আধিকারিক বলেন, “প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে, এ বার সব মিলিয়ে প্রায় ৫-৬ হাজার কৃষক কৃষি যন্ত্রপাতি কেনার ক্ষেত্রে ভর্তুকির সুবিধে পেতে পারেন। তবে কী যন্ত্রপাতি বেশি সংখ্যক কৃষক নিতে চাইছেন, তার উপরও উপভোক্তার সংখ্যা নির্ভর করছে।” |
|
|
|
|
|