সরস্বতী পুজোর দিন স্কুলে খাবার মেলেনি। জলসার নামে অশালীন নাচ-গান হয়েছে বলেও অভিযোগ। তারই প্রতিবাদে বুধবার স্কুলে বিক্ষোভ দেখালেন কিছু অভিভাবক।
এ দিন সকালে গোঘাটের তারাহাট সারদামণি হাইস্কুলের ঘটনায় অভিভাবক-সহ শ’তিনেক গ্রামবাসী সকাল সাড়ে ১০টা থেকে প্রায় সাড়ে পাঁচ ঘণ্টা স্কুল ঘেরাও করে রাখেন। পরিস্থিতি সামলাতে পুলিশ আসে। পরে স্কুলের প্রধান শিক্ষক এবং পরিচালন সমিতির সম্পাদক ক্ষমা চেয়ে নিলে বিক্ষোভ ওঠে।
পুলিশ ও স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার জনা কয়েক ছাত্র পুজোয় এসে খাবার পায়নি। স্কুলে পুজোর দিন খেতে গেলে আগে কুপন নেওয়ার ব্যবস্থা চালু হয়েছে। ওই ছাত্রদের অভিযোগ, কুপন দেখাতে না পারায় তাদের খাবার দেওয়া হয়নি। কুপন হারিয়ে ফেলার কথা বারবার বলা সত্ত্বেও শোনা হয়নি। গ্রামবাসীদের একাংশের আবার দাবি, স্কুলে পুজোর দিন অশালীন গানবাজনা হয়েছে। এ সবেরই প্রতিবাদে এ দিন সকাল থেকে গ্রামবাসীরা ঝাঁটা-জুতো নিয়ে স্কুলে চড়াও হন। স্কুলের পরিচালন সমিতির সম্পাদককে জুতোর মালা পরানোর চেষ্টা হয় বলেও অভিযোগ।
সম্পাদক গৌতম সামুই অবশ্য জানান, বহিরাগতেরা এসে যাতে স্কুলের খাবার না নিয়ে যেতে পারে, সে জন্য বহু দিন ধরেই কুপন সিস্টেম চালু আছে স্কুলে। তিনি বলেন, “খাবারের কোনও অভাব তো ছিলই না, বরং প্রাক্তন ছাত্রদেরও নিমন্ত্রণ করে খাওয়ানো হয়।” স্কুলে কোনও অশালীন নাচ হয়নি বলেও দাবি করেছেন তিনি। তাঁর অভিযোগ, তৃণমূল পরিচালিত তাঁদের পরিচালন কমিটিকে দখল করার জন্য দলেরই অন্য এক গোষ্ঠী এই ষড়যন্ত্র করেছে। বরুণ খাঁ নামে স্থানীয় এক তৃণমূল নেতার সক্রিয় উপস্থিতিতেই এই ঘটনা ঘটেছে বলে তাঁর অভিযোগ। বরুণ অবশ্য বলেন, “স্কুলে অপসংস্কৃতি রোখার জন্য গ্রামবাসীরাই একজোট হয়েছিলেন। গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বলে সম্পাদক বিষয়টিকে হালকা করতে চাইছেন।” সমস্যা মিটে গিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক কৃষ্ণকিশোর কুণ্ডু। |