|
|
|
|
অতিরিক্ত বিদ্যুৎ নিয়ে ক্ষোভ ত্রিপুরায়
নিজস্ব সংবাদদাতা • আগরতলা
৫ ফেব্রুয়ারি |
উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বাড়তি বিদ্যুৎ বাংলাদেশকে বিক্রি করতে না-পারায়, আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়ছে উত্তর-পূর্বে রাজ্যগুলিএমনই জানালেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার। এই পরিস্থিতির জন্য সরাসরি কেন্দ্র এবং প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহকেই তিনি দায়ী করলেন।
মানিকবাবু বলেন, ‘‘পালাটানা প্রকল্প থেকে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বিভিন্ন রাজ্যে বিদ্যুৎ যোগান দেওয়া হয়। কিন্তু প্রায় প্রতিটি রাজ্যেই প্রয়োজনের তুলনায় অতিরিক্ত বিদ্যুৎ থেকে যাচ্ছে। বাংলাদেশ পালাটানা প্রকল্পের বিদ্যুৎ কিনতে আগ্রহী। কেন্দ্রের গড়িমসিতে তা সম্ভব হচ্ছে না।” মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, অনেক বার এ বিষয়ে কেন্দ্রের সঙ্গে তাঁর কথা হলেও সুরাহা হয়নি।
তাঁর অভিযোগ, বাংলাদেশকে বিদ্যুৎ বিক্রি করতে ত্রিপুরার প্রস্তাব কেন্দ্র গুরুত্ব দিচ্ছে না। ফলে ত্রিপুরার মতো রাজ্য আর্থিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। কারণ, জাতীয় গ্রিড থেকে চুক্তি অনুযায়ী পালাটানার বিদ্যুৎ অসম, মেঘালয়, ত্রিপুরার মতো রাজ্যগুলিতে দেওয়া হয়। কিন্তু বাড়তি বিদ্যুৎ রাজ্যগুলি কাজে লাগাতে পারছে না। বাংলাদেশে বিদ্যুতের চাহিদা থাকলেও, ভারতের অভ্যন্তরীণ ও বৈদেশিক নীতির কারণে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলি তা সে দেশে পাঠাতে পারছে না।
কেন্দ্রীয় নীতির সমালোচনা করে মানিকবাবু বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার এখন ১০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ বাংলাদেশকে দিচ্ছে। আরও ১০০-২০০ মেগাওয়াট সে দেশে পাঠানো হলে, উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলির বাড়তি বিদ্যুৎ বিক্রি করে লাভবান হতে পারে। তাঁর বক্তব্য, ‘‘ত্রিপুরায় বিদ্যুৎ প্রকল্প গড়তে বাংলাদেশ এগিয়ে এসেছিল। তা হলে আমরা কেন তাঁদের সাহায্য করতে পারব না? ত্রিপুরার দক্ষিণে সোনামুড়া থেকে ৯ কিলোমিটার বিদ্যুৎ পরিবহন ব্যবস্থা তৈরি করলেই বাংলাদেশে বিদ্যুৎ পাঠানো যাবে। পশ্চিমবঙ্গের নাম না করেই মুখ্যমন্ত্রী জানান, ‘তিস্তা চুক্তি’ না-হওয়ায় হয়তো বাংলাদেশও চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহারের ‘ট্রানজিট’ সুবিধা দিতে চাইছে না। তাতেও আর্থিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চল।
কেন্দ্রীয় সরকারের ‘লুক ইস্ট’ নীতির বাস্তবতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন মানিকবাবু। |
|
|
|
|
|