|
|
|
|
কাচের বাক্সে নাসার স্তম্ভ, তটস্থ হাইলাকান্দির পুলিশ
নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলচর
৫ ফেব্রুয়ারি |
কাঁচের বাক্সে ত্রিভূজের আকারের একটি স্তম্ভ। সেটির উপরে বড় হরফে লেখানাসা (মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থার নাম)। ৭০ কিলোগ্রাম ওজনের ওই স্তম্ভই এখন রাতের ঘুম কেড়েছে হাইলাকান্দির পুলিশ-প্রশাসনের।
পুলিশ সূত্রের খবর, স্তম্ভটিকে নিয়ে গতকাল গাড়িতে শিলচরের দিকে যাচ্ছিলেন চারজন। মাঝরাস্তায় তল্লাশির সময় সেটি উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতার করা হয় গাড়ির সওয়ারিদের। ধৃতদের মধ্যে রয়েছেন শিলচর ব্লক কংগ্রেস সভাপতি গুরুদাস সিংহও।
২৪ ঘণ্টা পরও ওই বস্তুটির সম্পর্কে ধোঁয়াশা রয়েছে তদন্তকারীদের। আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপকরা স্তম্ভটিকে পরীক্ষা করেছেন। পুলিশের অনুরোধে হাইলাকান্দিতে গিয়েছেন শিলচরের ‘ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি’র (এনআইটি) প্রতিনিধিদলও। ওই দলে ছিলেন নাগপুর এনআইটি-র তিন বিশেষজ্ঞ। কিন্তু কেউই কোনও সিদ্ধান্তে পৌঁছতে পারেননি। শেষ পর্যন্ত খবর পাঠানো হয়েছে ফরেন্সিক সায়েন্স ল্যাবরেটরিতে।
হাইলাকান্দির পুলিশ সুপার ব্রজেন্দ্রজিৎ সিংহ জানিয়েছেন, আগামীকাল ওই গবেষণাগারের বিজ্ঞানীরা হাইলাকান্দি পৌঁছবেন। তার আগে, স্তম্ভটিকে ধরতেও চাইছে না পুলিশ। তাঁদের কাছে প্রাথমিক খবর ছিল, সেটি তেজষ্ক্রিয় কোনও পদার্থে তৈরি। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় হাইলাকান্দির কোনও জঙ্গলে তা পোঁতা হয়েছিল। ওই সময় অস্থায়ী বিমানবন্দরে বিমান ওঠা-নামার কাজে ব্যবহার করা হত স্তম্ভটিকে। কাঁচের বাক্স খুললেই তেজষ্ক্রিয় বিকিরণ ঘটতে পারে, সেই আশঙ্কায় সেটিকে আপাতত থানায় বালির বস্তা দিয়ে ঘিরে রাখা হয়েছে।
তবে আজ বিশেষজ্ঞদের কেউ সেটিকে তেজষ্ক্রিয় পর্দাথ বলে সন্দেহ প্রকাশ করেননি। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের আমলে তৈরি হলে স্তম্ভে ‘নাসা’ লেখা কেন, সে প্রশ্ন তুলেছেন তাঁরা।
পুলিশ জানিয়েছে, কংগ্রেস নেতা গুরুদাস সিংহ-সহ ওই ঘটনায় ধৃতরা কেউ স্পষ্ট ভাবে কিছু বলছেন না। জিজ্ঞাসাবাদের পরও পুলিশ তাঁদের বক্তব্য থেকে কোনও সিদ্ধান্তে পৌঁছতে পারেনি। চারজনই আলাদা কথা বলায় বিভ্রান্তি বাড়ছে। গুরুদাস জানিয়েছেন, গুয়াহাটি থেকে একজন সেটি সংগ্রহ করতে বলেছিল। তাঁর সঙ্গী শিবসাগর জেলার দিগন্ত চেতিয়া জানান, তাঁরা সেটি নাগাল্যান্ডে নিয়ে যেত। ধৃতদের কথার সূত্রে আরও তিন জনকে আটক করা হয়েছে।
দাবানল নেভাচ্ছে হেলিকপ্টার। নাগাল্যান্ডের দ্বিতীয় উচ্চতম শৃঙ্গ মাউন্ট জাফুতে ছড়িয়ে পড়া দাবানল নেভাতে হেলিকপ্টার নামালো বিমানবাহিনী। বৃহস্পতিবার জাফুর অরণ্যে আগুন লাগে। দাবানলের কবলে থাকা অনেকটা অংশই অত্যন্ত দুর্গম।
রাজ্যের প্রধান মুখ্য বনপাল কেন্দ্রীয় সাহায্য চেয়েছিলেন। এরপরই, বিমানবাহিনীর ইস্টার্ন কম্যান্ড থেকে আগুন নেভাবার উপকরণ-সহ এম ১৭ ভি ৫ হেলিকপ্টার কোহিমা পাঠানো হয়। হেলিকপ্টারটি আকাশ থেকে জল ছড়ানো শুরু করেছে। |
|
|
|
|
|