তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত আঁকার কোনও নির্দিষ্ট বিষয় নেই। সপ্তম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ুয়াদের আঁকার বিষয় ‘গ্রামে দূষণ’। এর পরের ধাপে প্রতিযোগীদের (দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত) বিষয় মেলা। এটি কোনও স্কুলে ছবি আঁকার প্রতিযোগিতা নয়। তীর্থগতি সেন, অরিত্র গুপ্ত বক্সী, সূচনা ঘোষধের মতো ৮২ জন বিভিন্ন শ্রেণির পড়ুয়াদের নিয়ে বুধবার সকালে এমনই এক অঙ্কন প্রতিযোগিতার আসর বসেছিল হেতমপুর মেলা প্রাঙ্গণে। রং, তুলিতে ফুটে উঠল একের পর ছবি। |
জানা গিয়েছে, ১২৪০ বঙ্গাব্দ থেকে এই মেলা চলে আসছে। বছর ৩৫ আগে মেলাটির দায়িত্ব স্থানীয় ক্লাবের হাতে চলে যায়। বছর ১৫ হল মেলাটি পঞ্চায়েতের হাতে রয়েছে। হেতমপুরের রাজবাড়ির সরস্বতী পুজো উপলক্ষে বহু যুগ ধরে হয়ে আসা এই মেলায় শুধু অঙ্কন নয়, আবৃত্তি, গান, যেমন খুশি সাজো-র মতো বিভিন্ন প্রতিযোগিতা ছাড়াও যাত্রা, নাটক, ক্যুইজ, বাউল, কবিগান, পাপেট থিয়েটারের মতো নানা অনুষ্ঠানের আয়েজন হয়ে থাকে মেলা প্রঙ্গণে থাকা সাংস্কৃতিক মঞ্চে। এ বারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। হেতমপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের পরিচালনায় শুরু হওয়া ওই মেলা চলবে রবিবার পর্যন্ত। হেতমপুর কৃষ্ণচন্দ্র কলেজ মোড় থেকে দক্ষিণাকালী মন্দির প্রাঙ্গণ পর্যন্ত প্রচুর স্টল, শিল্প প্রদর্শনী, নাগরদোলা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান মঞ্চ মিলিয়ে জমজমাট মেলা। হেতমপুর রাজবাড়ির সরস্বতী পুজো জৌলুস হারলেও প্রথা অনুযায়ী এই মেলার জন্য বছরভর অপেক্ষা করে থাকেন এলাকাবাসী। বুধবার মেলার উদ্বোধন হয়েছে দুবরাজপুর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি তনুশ্রী ঘোষের হাতে। সন্ধ্যায় মেলায় এসেছিলেন মৎস্যমন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহও। হেতমপুর পঞ্চায়েতের উপপ্রধান তথা মেলা কমিটির সম্পাদক নীলোৎপল মুখোপাধ্যায় বললেন, “সুষ্ঠুভাবে মেলা পরিচালনার ক্ষেত্রে সকলের সক্রিয় যোগদান রয়েছে।” |