বিবাহ বিহির্ভূত সম্পর্কের জেরে আট মাস আগে রামপুরহাটে খুন হয়েছিলেন নলহাটি থানার কোগ্রামের যুবক বীরেন্দ্র মণ্ডল (৩০)। ওই খুনের ঘটনায় অভিযুক্তরা অধরা ছিল। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে মঙ্গলবার দুপুরে সল্টলেক সেক্টর ফাইভ এলাকা থেকে মূল অভিযুক্তদের পুলিশ গ্রেফতার করেছে। পুলিশ জানায়, ধৃতরা হল এন্টু মাল ও তার স্ত্রী সাবিত্রী মাল। পেশায় রেলকর্মী এন্টু মাল দু’বছর ধরে রামপুরহাট পুরসভার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর মাঠপাড়ায় থাকলেও নলহাটি থানার কোগ্রামে তাদের আদি বাড়ি। বুধবার ধৃতদের রামপুরহাট আদালতে তোলা হলে এন্টু’র ৭ দিন পুলিশ হেফাজত ও সাবিত্রীর ১৪ দিন জেল হাজত হয়।
২০১৩ সালের ২৬ মে। ওই দিন সকালে রামপুরহাট পুরসভার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের নবপল্লি এলাকার একটি গলি থেকে বীরেন্দ্র মালের ক্ষত বিক্ষত দেহ উদ্ধার হয়েছিল। ওই খুনের তদন্তে নেমে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ২৫ মিটার দূর পর্যন্ত রামপুরহাট পুরসভার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তরমাঠপাড়া এলাকার একটি তালাবন্ধ ঘর পর্যন্ত রক্তের দাগ দেখতে পায়। সন্দেহ হওয়ায় পুলিশ বন্ধ দরজার তালা ভেঙে ঘরে ঢুকে দেখে, মেঝে ও দেওয়ালে রক্তের দাগ। ওই ঘর থেকে একটি রক্তের দাগ লেগে থাকা মোবাইল, রক্ত মাখা জামা কাপড় উদ্ধার করে। তদন্তে পুলিশ জানতে পারে, পেশায় বিমা কোম্পানির এজেন্ট বীরেন্দ্র মণ্ডলের সঙ্গে সাবিত্রীর বিবাহ বর্হিভূত সম্পর্ক রয়েছে। ২৫ মে রাতে বীরেন্দ্র রামপুরহাটে কাজ আছে বলে বেরিয়ে আর বাড়ি ফেরেননি। পরের দিন সকালে পরিবারের লোকজন খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন রামপুরহাট পুরসভা এলাকায় এক যুবকের মৃতদেহ পাওয়া গিয়েছে। পরে ঘটনাস্থলে গিয়ে আত্মীয়-পরিজনেরা তাঁর দেহ শনাক্ত করে রামপুরহাট থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনার দিন এন্টু তার দুই ছেলেমেয়েকে শ্বশুরবাড়িতে রেখে এসেছিল। পরে স্ত্রী ও ছেলেমেয়েদের নিয়ে এন্টু প্রথমে উত্তর ২৪ পরগনার খড়দহ এলাকায় কিছুদিন লুকিয়ে ছিল। পরে পেশায় রেলকর্মী এন্টু আর কাজে যোগ না দিয়ে সল্টলেক সেক্টর ফাইভ এলাকায় দিন মজুরের কাজ করতে শুরু করে। জেরায় এন্টু তার অপরাধের কথা স্বীকার করেছে বলে দাবি করেছেন রামপুরহাট থানার আইসি সুবীর বাগ। |