অসমাপ্ত কাজ শেষ করে কোচবিহার কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাসকে নতুন করে সাজিয়ে তোলার পরিকল্পনা নিয়েছে উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ নিগম বা এনবিএসটিসি কর্তৃপক্ষ। সংস্থা সূত্রের খবর, বাস টার্মিনাস চত্বরের অসমাপ্ত দোতলা ভবনের কাজ শেষ করে অনুষ্ঠান ভবন ও সভাকক্ষ হিসাবে ভাড়া দেওয়া, রাত্রিবাসের জন্য অতিথি নিবাস চালু ছাড়াও ওয়ার্কশপ, যন্ত্রাংশ মজুত রাখার ঘর, প্রস্তাবিত ই-টিকিট কন্ট্রোল রুম, খাবারের সুব্যবস্থা করার মত একাধিক বিষয় পরিকল্পনায় রাখা হয়েছে। রাজ্য সরকার পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য নিগম কর্তৃপক্ষকে ১ কোটি ২০ লক্ষ টাকা বরাদ্দ দিয়েছে।
গত জানুয়ারি মাসে কাজের জন্য প্রথম দফায় টেন্ডার ডাকা হলেও মাত্র দুটি সংস্থা তাতে অংশ নেয়। চলতি ফেব্রুয়ারি মাসেই ফের দ্বিতীয় বারের জন্য টেন্ডার ডাকার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী মার্চের মধ্যে কাজ শুরু করা যাবে বলে আশা করছেন নিগম কর্তারা। |
নিগমের ম্যানেজিং ডাইরেক্টর জয়দেব ঠাকুর বলেন, “কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাসের জমি, পরিকাঠামো ব্যবহার করে বিকল্প আয়ের উৎস তৈরি করা হচ্ছে। প্রথম দফায় ডাকা টেন্ডারে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে মাত্র দুটি আবেদন জমা পড়ায় স্বল্প সময়ের সময়সীমা উল্লেখ করে দ্বিতীয় দফায় টেন্ডার ডাকার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।”
নিগম সূত্রের খবর, ১৯৯৫ সালে কোচবিহার শহরের প্রাণকেন্দ্রে প্রায় ৩ একর জমির ওপর তৈরি কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাসের উদ্বোধন করেন তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসু। বাস দাঁড় করিয়ে রাখার ব্যবস্থার পাশাপাশি বেশ কিছু দোকানের স্টল তৈরি করা হয়। বসানো হয় বাহারি ফোয়ারা। কিন্তু সংস্থার ক্রমশ আর্থিক লোকসান বাড়তে থাকায় টার্মিনাসের অনেক কাজ বন্ধ হয়ে যায়। দূরপাল্লার বাসের সংখ্যাও টার্মিনাস থেকে কমতে শুরু করে। তখন বিষয়টি জানতে পারেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার পরেই টাকা বরাদ্দ হয়।
নিগমের পরিচালন বোর্ডের সদস্য আবদুল জলিল আহমেদ বলেন, “বিকল্প আয় বাড়াতে কোচবিহারের ওই টার্মিনাসকে ঢেলে সাজানো প্রয়োজন। বিষয়টি মুখ্যমন্ত্রীর নজরে আসার পরেই ওই আর্থিক বরাদ্দ এসেছে। এখান থেকে দূরপাল্লার বাসের সংখ্যাও বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।” নিগম সূত্রেই জানা গিয়েছে, টার্মিনাস চত্বরের খালি জমি ব্যবহার করে ই-টিকিট কন্ট্রোল রুম চালু করা হলে কাজের প্রয়োজনীয়তার নিরিখে সেখানকার গুরুত্ব বাড়বে। তাছাড়া একই চত্বরে ওয়ার্কশপ, গ্যারেজ, যন্ত্রাংশ মজুত রাখার ঘর করা গেলে বিভিন্ন জায়গা থেকে বাস নিয়ে যাতায়াতের তেল খরচ সাশ্রয় হবে। |