কুড়ি মাস হতে চলেছে হলদিবাড়ির সহায় সম্বলহীন বাসিন্দা ও প্রতিবন্ধীরা সরকারি সাহায্য পাচ্ছেন না। জেলা প্রশাসন সুত্রে জানা গিয়েছে, কোচবিহার জেলার একমাত্র হলদিবাড়ি ব্লকে এই সাহায্য পৌঁছয়নি। এই নিয়ে ক্ষোভ বাড়ছে। দক্ষিণ বড় হলদিবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের বিরোধী দলের নেতা মদন সরকার বলেন, “এত দিন সহায় সম্বলহীন মানুষ সরকারি সাহায্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। হলদিবাড়ির বিডিও, মেখলিগঞ্জ মহকুমাশাসক প্রত্যেককে বহু বার বলেছি লিখিত জানিয়েছি।” মেখলিগঞ্জের মহকুমাশাসক রঞ্জন ঝা বলেছেন, “সমস্ত সমস্যার কথা জেলা প্রশাসনে জানানো হয়েছে।”
হলদিবাড়ি ব্লকের ছয়টি পঞ্চায়েত অঞ্চলে যে ২৩৫ জন সরকারি সাহায্য পাচ্ছেন না তাদের মধ্যে আছেন উত্তর বড় হলদিবাড়ি গ্রাম ৪৯ জন, দক্ষিণ বড় হলদিবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের ২৮ জন, বক্সিগঞ্জ গ্রাম পঞ্চায়েতের ৪১ জন, পারমেখলিগঞ্জ গ্রাম পঞ্চায়েতের ৩৩ জন, দেওয়ানগঞ্জ গ্রাম পঞ্চায়েতের ৩৯ জন ও হেমকুমারী গ্রাম পঞ্চায়েতের ৪৫ জন বাসিন্দা। তাদের জন্যে সরকার থেকে প্রতি মাসে ১২ কিলোগ্রাম করে গম দেওয়া হত। ২০১২ সালে মার্চ মাসে শেষ বার তারা এ সাহায্য পান।
যদিও কোচবিহারের জেলাশাসক মোহন গাঁধী বলেন, “কিছু সমস্যার জন্যে হলদিবাড়ি ব্লকে এই সাহায্য দেওয়া যায়নি। জেলার অন্য সবকটি ব্লকে এ সাহায্য নিয়মিত দেওয়া হচ্ছে। ফেব্রুয়ারি মাসে প্রথম সপ্তাহ থেকে আবার হলদিবাড়ি ব্লকে নিয়মিত এই সাহায্য দেওয়া শুরু হবে।”
প্রশ্ন উঠেছে কি এমন সমস্যা যার জন্যে এই সহায় সম্বলহীন বাসিন্দারা এই দীর্ঘ সময় তাদের প্রাপ্য সাহায্য থেকে বঞ্চিত? তার সদুত্তর মেলেনি।
এই নিয়ে সব রাজনৈতিক দল এক সুরে প্রতিবাদের কথা বলেছে। তৃণমূল কংগ্রেসের হলদিবাড়ি ব্লকের সভাপতি গোপাল রায় বলেন, “কোনও সমস্যার জন্যে সহায় সম্বলহীন লোকজন বঞ্চিত হতে পারেন না। কেন এ রকম ঘটনা ঘটল তা নিয়ে খোঁজখবর করা হবে।” বামফ্রন্টের পক্ষে ইন্দ্রজিৎ সিংহ বলেন, “এটা প্রশাসনিক ব্যার্থতা। যাদের কাছে সরকারি সাহায্য প্রয়োজনীয় তাদেরই বঞ্চিত করা হয়েছে।” রেশন ডিলারদের সূত্র জানা যায় যে, সরকারি সংস্থা কনফেড এই গম সরবরাহ করত তারা হলদিবাড়ি ব্লকে তা করতে পারেনি। |