ব্রিগেডে মুখ্যমন্ত্রীর সভার দিন বাসের অভাবে জেলা কার্যত বন্ধের চেহারা নিয়েছিল। আজ বুধবার ব্রিগেডে বিজেপি-র প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী নরেন্দ্র মোদীর সভার জেরেও জেলায় চলবে তেমনই অবস্থা হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। জেলার বহু বাস ব্রিগেডে যাচ্ছে। হাওড়াগামী শিরোমণি প্যাসেঞ্জার ও পুরুলিয়া এক্সপ্রেসেও ব্যাপক ভিড়ের সম্ভাবনা থাকছে।
বাঁকুড়া জেলা বাস মালিক সূত্রে জানা গিয়েছে, বিভিন্ন রুটের প্রায় ৮০টি বাস মোদীর সভার জন্য নিয়েছে বিজেপি। দলের রাজ্য সহ-সভাপতি সুভাষ সরকার বলেন, “বাঁকুড়া থেকে প্রায় ২০ হাজার মানুষ মোদীর সভায় যাচ্ছেন। এ জন্য ৮০টি বাস ও অসংখ্য ছোট গাড়ির ব্যবস্থা আমরা করেছি। এ ছাড়া ট্রেনেও কয়েক হাজার মানুষ ব্রিগেডে যাচ্ছেন।” |
তৃণমূলের ব্রিগেডে সভার দিন বাস না পেয়ে চরম নাকাল হন কয়েক হাজার যাত্রী। বাঁকুড়ার আঞ্চলিক পরিবহণ দফতর (আরটিও) সে দিন অতিরিক্ত বাস না নামালেও দক্ষিণবঙ্গ পরিবহণ নিগমের বাস একাধিকবার বিভিন্ন রুটে যাতায়াত করানো হয় বলে দাবি করেছিল। যদিও তাতে মানুষের ভোগান্তি কমেনি। মোদীর সভার জন্যেও বাস কমে গিয়ে ফের ভোগান্তির আশঙ্কা করছেন সাধারণ মানুষ। আঞ্চলিক পরিবহণ আধিকারিক (বাঁকুড়া) দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “৮০টি বাস না চললেও পরিবহণের সমস্যা হওয়ার কথা নয়। পরিস্থিতি খারাপ হলে দক্ষিণবঙ্গ পরিবহণ নিগমের বাস বিভিন্ন রুটে বেশি করে চালানো হবে।”
মোদীর সভার মাসখানেক আগে থেকেই ব্রিগেড ভরাতে প্রচার শুরু করেছেন বিজেপি-র কর্মী-নেতারা। বাঁকুড়া জেলায় কয়েক হাজার চা দোকানির হাতে আমন্ত্রণ পত্র তুলে দেওয়া হয়। ‘মোদী টি স্টল’ বানিয়ে সাধারণ মানুষকে বিনামূল্যে চা খাওয়ানোও চলছিল। পাশাপাশি মোদীর মুখোশ পরেও জেলার বিভিন্ন প্রান্তে ব্রিগেডের সভার প্রচার করেন বিজেপি-র কর্মীরা। |
মঙ্গলবারও বাঁকুড়ার চকবাজার এলাকায় মোদী টি স্টলে চা খেতে মানুষজনের ভিড় দেখা যায়। শীতের দিনের বিনামূল্যে চা খেতে ভিড় জমালেন কলেজ পড়ুয়া থেকে অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মী-- সকলেই। সুভাষবাবু বলেন, “মোদী হাওয়া যে গোটা দেশের মতো এ রাজ্যের প্রত্যন্ত জেলা বাঁকুড়াতেও বইছে তা বেশ টের পাচ্ছি। বহু সাধারণ মানুষ অনুদান দিয়ে ব্রিগেডের সভায় যেতে চাইছেন।”
তবে পুরুলিয়া থেকে বিজেপি কর্মীদের অধিকাংশই ট্রেনে ব্রিগেডে রওনা হয়েছেন। মঙ্গলবার থেকেই রূপসী বাংলা, আরণ্যক ও রাতে চক্রধরপুর-বোকারো ফার্স্ট প্যাসেজ্ঞারে তাঁদের অনেকে চাপেন। বিজেপি-র জেলা সভাপতি বিকাশ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “জেলা থেকে আমরা ২৫টি বাস ভাড়া নিয়েছি। এ ছাড়া অনেক ছোটগাড়িতে কর্মীরা ব্রিগেডে যাচ্ছেন। ফলে সাধারণ যাত্রীদের ভোগান্তি হবে না।” জেলা বাসমালিক সমিতির সম্পাদক প্রতিভারঞ্জন সেনগুপ্ত জানান, এমনতি সিজান উত্সবের জন্য বুধবার রাস্তায় লোক চলাচল কম থাকবে। তাই অনেক বাস বন্ধই রাখতে হয়। বিজেপি-র সভায় বাস যাওয়ার প্রভাব পড়বে না। |