|
|
|
|
বাগদেবীর আরাধনায় হলদিয়াকে টেক্কা দিল মহিষাদল |
নিজস্ব সংবাদদাতা • হলদিয়া |
বাগদেবীর আরাধনায় মাতল শিল্পশহর। তবে আবেগে, উত্সাহে হলদিয়াকে টেক্কা দিল মহিষাদল। সরস্বতী পুজোয় রথের মেলার মতো ভিড় হল মহিষাদলে।
এ বার অভিনব মণ্ডপ করে নজর কেড়েছেন মহিষাদলের ছাত্র সমন্বয়। তাদের থিম ভিন্ গ্রহ। মণ্ডপের সামনেই দণ্ডায়মান ভিন্ গ্রহের জীব। ভেতরে ফাইবারের দেবী। গাছপালা, জীব-জন্তু সবই কাল্পনিক। পুজো কমিটির কর্মকর্তা চিকিত্সক নীলাঞ্জন চক্রবর্তী জানান, ভিড় সামলাতে পুলিশের দ্বরস্থ হতে হয়েছে তাঁদের। ৭ লাখের পুজো মহিষাদলেরই সানডে ক্লাবের। এখানে মহিষাদলের রথযাত্রা এবং পুরীর রথযাত্রার মধ্যে সেতু বন্ধন করতে চেয়েছেন ক্লাবের কর্মকর্তারা। ক্লাবের তরফে অরূপদাস অধিকারী জানান, সারা বাংলা ক্যারাম ও দৌড় প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে। এ ছাড়া মহিষাদল ব্লকের ২৯টি স্কুলের দুঃস্থ ও মেধাবী ছেলে-মেয়েদের আর্থিক সাহায্য করা হচ্ছে। তবে সবচেয়ে বেশি ভিড় মহিষাদলের গড়কমলপুরে। সরস্বতী নয়, শিব-পার্বতীকে দেখতে দলে দলে কিশোর-কিশোরী কৈলাসনাথের মন্দিরে ভিড় জমিয়েছেন। সাধে কী সরস্বতী পুজোকে, বাঙালির ‘ভ্যালেনটাইনস্ ডে’ বলে। পুজোর আয়োজনে পিছিয়ে নেই শিল্পশহরও। হলদিয়ার মোহনা মার্কেটের কারুকৃত্ ক্লাব এ বার থিম করেছে বই পড়া। মণ্ডপের চারপাশে মনীষীদের বাণী লেখা। শুধু তাই নয় ক্লাবের ৩০ জন এদিন বিপর্যয় মোকাবিলার প্রশিক্ষণ নিলেন। প্রশিক্ষণ দিলেন জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা প্রশিক্ষক অনুপম পালধি। দুর্গাচকের স্ক্যাভেনজার ক্লাব তাদের মণ্ডপসজ্জায় এনেছে এক টুকরো গ্রাম। দুর্গাচকের লাভার্স ক্লাব সাহিত্য আলোচনা, বড় মাপের ক্যুইজ এবং গুণীজন সংবর্ধনার আয়োজন করেছে। হলদিয়ার গান্ধীনগর ক্লাবে তিন দিন ধরে চলবে বিচিত্রানুষ্ঠান। শঙ্খিনী ল্যান্ডমার্ক, রিস্তে আবাসনে বাগদেবীর আরাধনার সাথে ছোটদের আঁকার প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছে। সুতাহাটা, চৈতন্যপুরে বড় মাপের পুজো না হলেও বিবেকানন্দ মিশন আশ্রমের পার্কের মন্দিরে এদিন ভিড় ছিল দেখার মতো। |
|
|
|
|
|