এতিহাদের শিকল ভাঙলেন হোসে মোরিনহো। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের মেগা ম্যাচে শেষ হাসি হাসলেন ‘দ্য স্পেশ্যাল ওয়ান’। ব্র্যানিস্লাভ ইভানোভিচের গোলে সোমবার রাতে ম্যাঞ্চেস্টার সিটিকে তাদের ঘরের মাঠ এতিহাদ স্টেডিয়ামে ১-০ হারাল চেলসি। সঙ্গে শেষ করল ঘরের মাঠে ম্যান সিটির অপরাজিত থাকার ধারা।
প্রিমিয়ার লিগের মেগা ম্যাচের আগেই জমে উঠেছিল দুই কোচের বাগ্যুুদ্ধ। এক দিকে সিটি কোচ পেলেগ্রিনি বলেছিলেন, “মাতাকে ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডে বিক্রি করা উচিত হয়নি মোরিনহোর।” তাতে চেলসি কোচ মোরিনহোর পাল্টা ছিল, “ম্যাঞ্চেস্টার সিটিও তো অনেক টাকা খরচ করেছে। তা হলে ওদের কেন কোনও ফুটবল সমর্থক কটাক্ষ করে না?” |
এ দিন দলের সেরা স্ট্রাইকার সের্জিও আগেরোর চোট থাকায় জেকো ও নেগ্রেদোকে নিয়ে প্রথম দল সাজান পেলেগ্রিনি। জবাবে উইলিয়ান, হ্যাজার্ড এবং এটোকে নিয়ে আক্রমণ গড়েন মোরিনহো। প্রথমার্ধের মাঝামাঝি রাইট ব্যাক ইভানোভিচের গোলে ১-০ এগোয় চেলসি। দ্বিতীয়ার্ধে অনেক সুযোগ তৈরি করলেও, গোলের মুখ দেখতে পাননি নেগ্রেদো-জেকোরা। পরিবর্তে স্টেফান জোভেটিচের মতো তরুণ স্ট্রাইকার নামিয়েও ম্যাচের স্কোরলাইন বদলাতে পারেননি পেলেগ্রিনি।
ম্যাচ শেষে দলের প্রশংসায় পঞ্চমুখ মোরিনহো বলেন, “এ রকম পারফরম্যান্সই দলকে বাড়তি আত্মবিশ্বাস দেয়। কোনও ভাল দলের বিরুদ্ধে জেতার মজাই আলাদা।” আর চেলসির ভাল পারফরম্যান্সের রহস্যও ফাঁস করলেন পর্তুগিজ কোচ ক্লাবের ম্যাসিওর বিলি ম্যাককুলো। হাফটাইমে মোরিনহোর বদলে বিলি নাকি তাতিয়ে তোলেন চেলসি ফুটবলারদের। “আমি কোনও কথাই বলিনি। বিলি নিজের স্কটিশ ভঙ্গিতে ফুটবলারদের বোঝাচ্ছিল। আর তাতে সবাই হাততালিও দিচ্ছিল। ও কী বলছে আমি বুঝতে না পারলেও ফুটবলাররা বুঝেছে,” বলেন মোরিনহো।
পাশাপাশি আবার ডিফেন্ডার মার্টিন ডেমিচেলিসকে মাঝমাঠে খেলানোর জন্য তীব্র কটাক্ষের মুখে পড়তে হল পেলেগ্রিনিকে। যে প্রসঙ্গে পেলেগ্রিনি বলেন, “জ্যাক রডওয়েল সবে চোট সারিয়ে ফিরল। মিলনার শেষ দিনেই শুধু ভাল করে অনুশীলন করতে পেরেছে। তাই ডেমিচেলিস ছাড়া অন্য কাউকে নামানোর উপায় ছিল না।” কিন্তু ম্যান সিটিকে হারিয়েও লিগ টেবলের তৃতীয় স্থানেই থাকল চেলসি। সিটি ও চেলসির, দুই ক্লাবেরই পয়েন্ট ৫৩। কিন্তু গোল পার্থক্যে ম্যান সিটি এগিয়ে। |