দিল্লি রোডের ধার থেকে এক যুবকের দেহ উদ্ধার করল পুলিশ। মঙ্গলবার সকালে শ্রীরামপুরের দীর্ঘাঙ্গি এলাকার ঘটনা। পুলিশ জানায়, রাজেশ খাঁ (৩৮) নামে ওই যুবকের ডান কানের পাশের গভীর ক্ষত রয়েছে। একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
শ্রীরামপুরের তৃণমূল বিধায়ক সুদীপ্ত রায় নিজে চিকিৎসক। তিনি শ্রীরামপুর ওয়ালশ হাসপাতালের মর্গে গিয়ে দেহ দেখার পরে বলেন, “রাজেশকে ডান কানে গুলি করে মারা হয়েছে। কানের লতিতেও ক্ষতচিহ্ন রয়েছে। আমার ধারণা খুব কাছ থেকে গুলি করা হয়। কারা এ কাজ করল পুলিশ দেখুক।” রাজেশকে নিজেদের দলের কর্মী বলেও দাবি করেছেন তিনি। এ দিনই দেহের ময়না-তদন্ত হয় ওয়ালশ হাসপাতালে। হাসপাতাল সুপার ত্রিদিব মুস্তাফি জানান, ওই যুবকের ডান কানের পিছনে একটি ফুটো ছিল। সেখান থেকে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়। প্রাথমিক ভাবে মনে হয়েছে, সেটি গুলির চিহ্ন। দেহের অন্য কোথাও কোনও ধরনের আঘাতের চিহ্ন ছিল না।
ক্ষতটি গুলির কিনা, তা নিয়ে অবশ্য নিশ্চিত নন তদন্তকারী অফিসারেরা। জেলা পুলিশের এক কর্তা বলেন, “ওই ক্ষতটি কিসের তা এখনও স্পষ্ট নয়। ময়না-তদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে বিষয়টি স্পষ্ট হবে। তদন্তে সব দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে।” নিহতের ভাই সুকুমার খাঁ অবশ্য বলেন, “দাদাকে খুন করা হয়েছে বলেই মনে হচ্ছে। তবে কে বা কারা এমন করতে পারে, জানি না।” তিনি জানান, এমনিতে দাদার কোনও শত্রু ছিল না। তবে এক প্রতিবেশীর সঙ্গে বচসা হত বলে শুনেছি।”
পুলিশ জানায়, রাজেশ বৈদ্যবাটি চক এলাকায় শ্বশুরবাড়িতে থাকতেন। বাড়ি মানকুণ্ডুতে। দীর্ঘাঙ্গিতে কাঠ চেরাইয়ের কারখানায় কাজ করতেন। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৮টা নাগাদ মোটরবাইকে চেপে বের হন। কিন্তু কারখানায় ঢোকেননি। সকাল ৯টা নাগাদ এক সহকর্মী রাস্তার তাঁকে পড়ে থাকতে দেখেন। |