|
|
|
|
ফের অশান্ত অসম-অরুণাচল সীমানা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • গুয়াহাটি
৪ ফেব্রুয়ারি
|
গুলির লড়াইয়ে ফের অশান্ত অসম-অরুণাচল সীমানা। একইসঙ্গে, অর্থনৈতিক অবরোধের জেরে অরুণাচলের সিয়াং ও দিবাং উপত্যকায় জ্বালানী ও নিত্যপণ্যের ভাঁড়ারে টান পড়েছে।
২৯ নভেম্বর রাতে অরুণাচলের দিক থেকে আসা হানাদারদের গুলিতে বেহালির চাউলধোয়া গ্রামে কয়েকজন গ্রামবাসীর মৃত্যু হয়। অনেকে এখনও নিখোঁজ। রবিবার রাতে বেহালির কালাহান্দি এলাকায় ফের হানা দেয় দুষ্কৃতীরা। অসমের গ্রামবাসীদের দিকে কয়েক রাউন্ড গুলি চালায় তারা। একটি বাড়ি ও তিনটি গোলাও পুড়িয়ে দেওয়া হয়। এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে পুলিশ ও আধা সেনা।
রবিবারই তেজপুরে সীমানা সুরক্ষা ও আইন-শৃঙ্খলা নিয়ে আধাসেনা, এসএসবি, জেলা প্রশাসন ও সেনা কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন ডিজি খগেন শর্মা। সিদ্ধান্ত হয়, অরুণাচল সীমানার দিকালমুখে একটি থানা তৈরি করা হবে। বেহালি সংরক্ষিত অরণ্যে পুলিশ চৌকি তৈরির কাজও শুরু হয়েছে। সিপিআই (এমএল)-এর দাবি, হামলার ঘটনায় নবগঠিত ‘ন্যাশনাল লিবারেশন কাউন্সিল অফ টানিল্যান্ড’ নামে একটি জঙ্গি সংগঠন জড়িত। সিপিআই (এমএল)-এর উদ্যোগে তৈরি ‘অরুণাচল আগ্রাসন প্রতিরোধ সমিতি’ অরুণাচলের রাজনৈতিক মদতেরও অভিযোগ তুলেছে। আদিবাসী ছাত্র সংগঠন ‘আসা’ হুমকি দিয়েছে, পুলিশ শোণিতপুরের চা জনগোষ্ঠী ও আদিবাসীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত না হলে আদিবাসীরাই সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তুলবেন।
এ দিকে, অরুণাচলের বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক অবরোধে পূর্ব, পশ্চিম, আপার সিয়াং জেলা ও দিবাং উপত্যকায় জ্বালানী, নির্মাণ সামগ্রী, নিত্যপণ্য পৌঁছচ্ছে না। বেহালি, বরগং, চারদুয়ারে পাঁচদিন ধরে দাঁড়িয়ে রয়েছে সারি সারি ট্যাঙ্কার, পণ্যবাহী ট্রাক। সিয়াং জেলা পরিষদের তরফে, অসমবাসীর কাছে অবরোধ প্রত্যাহারের অনুরোধ জানানো হয়েছে। দুই রাজ্যের সরকারের কাছেই তারা আবেদন করেছে, ‘সীমানা কমিশন’-এর সিদ্ধান্তের জন্য অপেক্ষা না-করে দু’পক্ষের সম্মতিতে সীমানা বিতর্কের সমাধান করা হোক। |
|
|
|
|
|