|
|
|
|
অতিরিক্ত বিদ্যুৎ খরচে শিল্প চাইছে ত্রিপুরা |
আশিস বসু • আগরতলা
৪ ফেব্রুয়ারি
|
চাহিদার তুলনায় বেশি বিদ্যুৎ পেয়ে নাজেহাল ত্রিপুরা!
বাধ্য হয়েই সস্তায় অতিরিক্ত সেই বিদ্যুৎ উত্তর-পূর্বের অন্য রাজ্যকে বিক্রি করছেন প্রাকৃতিক গ্যাস ভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র পালাটানার কর্তারা।
কয়েকদিন আগে থেকেই ত্রিপুরার পালাটানায় বাণিজ্যিকভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হয়েছে। প্রথম ইউনিটের উৎপাদন ক্ষমতা ৩৬৩ মেগাওয়াট। পুরোদমে উৎপাদন শুরু না-হলেও কোনও কোনও দিন ৩০০ মেগাওয়াট উৎপাদনও হচ্ছে। ওই বিদ্যুৎ কেন্দ্রের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ওটিপিসিএল-এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর মুকুল বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘উৎপাদিত বিদ্যুৎ উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সেন্ট্রাল গ্রিডে পাঠানো হচ্ছে। সেখান থেকে নিয়ম অনুসারে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলিকে প্রাপ্য অনুযায়ী আনুপাতিক হারে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হচ্ছে।” মুকুলবাবু জানান, পালাটানার প্রথম ইউনিট থেকে ৩৬৩ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপন্ন হলে ত্রিপুরা পাবে ৯৮ মেগাওয়াট।
রাজ্য বিদ্যুৎ নিগমের কর্তা মৃদুল চৌধুরী বলেন, ‘‘পালাটানা চালুর পর কোনও কোনও দিন রাজ্যে চাহিদার তুলনায় বিদ্যুতের জোগান বেশি হচ্ছে। বিদ্যুৎ মজুত করা যায় না। তাই উদ্বৃত্ত বিদ্যুৎ সস্তায় উত্তর-পূর্বাঞ্চলের অন্য রাজ্যগুলিকে বিক্রি করতে হচ্ছে।’’
কয়েকটি রাজ্য বিদ্যুতের অভাবে ভুগছে। তখন ত্রিপুরার ছবিটা উল্টো। রাজ্যে ভারী শিল্প সে ভাবে না-থাকায় কারণে শিল্পে বিদ্যুতের চাহিদা নেই বলে মনে করছেন বিদ্যুৎ কর্তারা। শিল্প ও বাণিজ্য দফতরকে রাজ্যে শিল্পায়নে অতিরিক্ত বিদ্যুৎ কাজে লাগানোর অনুরোধও করছেন তাঁরা। প্রশাসনিক সূত্রের খবর, মনারচক গ্যাস-ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে উৎপাদন শুরু হলে, আরও ১০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাবে ত্রিপুরা। তখন পরিস্থিতি জটিল হতে পারে।
মৃদুলবাবুর বক্তব্য, ‘‘রাজ্যে শিল্পের বিকাশে শিল্পোদ্যগীদের আরও বেশি সুবিধা দেওয়া প্রয়োজন। নতুন শিল্প তৈরি হলে উদ্বৃত্ত বিদ্যুৎ কাজে লাগবে।’’ শিল্প দফতর সূত্রের খবর, ফেব্রুয়ারির শুরুর দিকে সরকারি উদ্যোগে একটি বাণ্যিজিক আলোচনাসভা (বিজনেস মিট) হবে। দফতরের সচিব এম নাগারাজু জানিয়েছেন, দেশের ৪০-৫০ জন শিল্পপতি হাজির থাকতে পারেন।
অতিরিক্ত বিদ্যুৎ ব্যবহার করতে না-পারার দায় কেন্দ্রের উপর চাপাতে চেয়েছেন ত্রিপুরার বিদ্যুৎমন্ত্রী মানিক দে। তাঁর অভিযোগ, ‘‘উত্তর-পূর্ব থেকে অন্য রাজ্যে বিদ্যুৎ পাঠাতে প্রয়োজনীয় প্রযুক্তি গড়ে তোলেনি জাতীয় গ্রিড। সে কারণেই দেশের অন্য জায়গায় বিদ্যুতের চাহিদা থাকা সত্ত্বেও, ত্রিপুরা তা পাঠাতে পারছে না।’’ |
|
|
|
|
|