|
|
|
|
নীতীশের মন্ত্রিসভা ছাড়লেন পরভিন |
স্বপন সরকার • পটনা
৪ ফেব্রুয়ারি
|
নীতীশ কুমারের মন্ত্রিসভা এবং জেডিইউ থেকে ইস্তফা দিলেন বিহারের সমাজকল্যাণ মন্ত্রী পরভিন আমানুল্লা। সামাজিক কাজে আরও সময় দিতেই তিনি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন। তবে, একই সঙ্গে পরভিন মন্তব্য করেছেন‘এই ব্যবস্থায় কাজ করা সম্ভব নয়।’
পরভিন আমানুল্লা
|
লোকসভা ভোটের আগে পরভিনের এই পদক্ষেপে ফের ধাক্কা খেল নীতীশ শিবির। কয়েক দিন আগে শিবানন্দ তিওয়ারিকে রাজ্যসভায় মনোনয়ন না-দেওয়ায় নীতীশের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছিলেন প্রবীণ ওই জেডিইউ নেতা। দলীয় নেতৃত্ব এবং মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিয়ে প্রতিবাদও জানিয়েছিলেন শিবানন্দ।
২০১০-এ নীতীশের মন্ত্রিসভায় যোগ দেন সমাজকর্মী পরভিন। বেগুসরাইয়ের সাহিব কমাল কেন্দ্র থেকে তিনি বিধায়ক নির্বাচিত হন। তাঁকে সমাজকল্যাণ দফতরের দায়িত্ব দেন নীতীশ। পরভিনের স্বামী আফজল আমানুল্লা ওই সময় আইএএস অফিসার হিসেবে নীতীশ প্রশাসনেই ছিলেন। এখন তিনি কেন্দ্রের সংসদীয় বিষয়ক মন্ত্রকের সচিব। আজ পরভিন বলেন, “আমি এক জন সমাজকর্মী। মন্ত্রী এবং দলের কাজের জন্য সমাজ সেবায় সময় দিতে পারছিলাম না। সেই কাজেই ফের ফিরতে চাই।” তবে, সরকারের কাজকর্ম নিয়ে তিনি যে বিরক্ত, পরভিনের কথায় তার রেশও মিলেছে। তিনি বলেছেন, “এই ব্যবস্থায় (সিস্টেম) কাজ করা সম্ভব নয়।”
ইস্তফার কারণ কী, তার জবাবে পরভিন শুধু বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীকে সব কথা লিখেছি। প্রকাশ্যে কিছু বলতে পারব না। দল এবং সরকারের সকলের সঙ্গে আমার ভাল সম্পর্ক।” তিনি আরও জানিয়েছেন, কিছু দিন আগেই ইস্তফা দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু রাজ্যসভার প্রার্থী মনোনয়ন প্রক্রিয়ার জন্য অপেক্ষা করেছেন। এতে রাজ্যসভার ভোটে তাঁর দিক থেকে দলের সমস্যা হবে না।
দলীয় সূত্রে কিন্তু অন্য ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছে। জেডিইউ নেতাদের একাংশ জানিয়েছেন, মোকামার প্রভাবশালী জেডিইউ বিধায়ক আনন্দ সিংহের সঙ্গে গত বছরে মতবিরোধ হয়েছিল পরভিনের। পটনার পাটলিপুত্র এলাকায় একটি বেআইনি হোটেল রয়েছে আনন্দের। একটি পার্কও ওই বিধায়ক দখল করে নেন। পরভিন তার প্রতিবাদ করলে, প্রকাশ্যেই তাঁদের মধ্যে বিবাদ হয়। |
|
|
|
|
|