|
|
|
|
| |
| কংগ্রেস-ঘেঁষা লোকপাল ঠেকাতে বিজেপির নালিশ রাষ্ট্রপতির কাছে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি
৪ ফেব্রুয়ারি |
লোকসভা ভোটের মুখে দুর্নীতি দমনে দায়বদ্ধতার প্রমাণ দিতে তৎপর কংগ্রেস। সেই লক্ষ্যে রাহুল গাঁধী এখন লোকপাল বিল পাশ করানোর কৃতিত্ব দাবি করছেন। পাশাপাশি মনমোহন সিংহের সরকারও চেষ্টা চালাচ্ছে যাতে ভোটের আগেই লোকপাল চালু করে দেওয়া যায়। কিন্তু লোকপালের প্যানেল গঠন নিয়েই সরকারকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে দিল বিজেপি। লোকপালের যাত্রা শুরুর মুখে সরকারের বিরুদ্ধে স্বজনপোষণের অভিযোগ এনে রাষ্ট্রপতির দ্বারস্থ হলেন বিরোধী নেত্রী সুষমা স্বরাজ।
আইন অনুসারে লোকপাল নিয়োগ করবে চার সদস্যের একটি প্যানেল। এঁরা হলেন প্রধানমন্ত্রী, লোকসভার স্পিকার, লোকসভার বিরোধী দলনেতা ও সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি বা তাঁর মনোনীত কোনও ব্যক্তি।
গত কাল রাতে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে সেই প্যানেলের বৈঠক হয়। প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে লোকপাল পদের জন্য ৭টি নাম দেওয়া হয়েছিল। তবে স্পিকার, প্রধান বিচারপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেষ পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী পি পি রাওয়ের নাম প্রস্তাব করেন। এতে আপত্তি করেন লোকসভার বিরোধী নেত্রী। সুষমার বক্তব্য, “পি পি রাওয়ের সঙ্গে কংগ্রেসের ঘনিষ্ঠতা সুবিদিত। চল্লিশ বছর পরে যখন লোকপাল গঠন হচ্ছে, তখনও যদি কংগ্রেস সেটিকে কুক্ষিগত করে রাখতে চায়, তবে এর মূল উদ্দেশ্যটাই ভেস্তে যাবে।”
সুষমা আজ এই প্রসঙ্গে জানান, প্রধানমন্ত্রীকে ৩টি প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। এক, প্রয়োজন হলে বিষয়টি নিয়ে আরও ভাবনাচিন্তার জন্য বৈঠক পিছিয়ে দেওয়া হোক। দুই, হরিশ সালভে, সোলি সোরাবজির মতো কয়েক জন নামী আইনজীবীর নাম ওই তালিকায় সামিল করা হোক। তিন, সরকার যদি তাতে রাজি না হয়, তবে তাদের দেওয়া ৭ জনের তালিকা থেকেই প্রাক্তন অ্যাটর্নি জেনারেল কে পরাশনকে বেছে নেওয়া হোক।
কিন্তু সরকার পক্ষ এর কোনওটিতেই রাজি না হওয়ায় অসন্তোষ জানিয়ে রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়কে চিঠি দেন সুষমা। বিজেপি নেতারা এ দিন সন্ধেয় লালকৃষ্ণ আডবাণীর বাড়িতে এক বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেন। তাঁদের মতে, সরকার ভোটের আগে শুধু দেখাতে চায়, দুর্নীতি রোধে তারা কতটা আন্তরিক। কিন্তু কার্যক্ষেত্রে তারা মোটেই আন্তরিক নয়।
এ নিয়ে সুষমার বক্তব্য, রাহুলের ইচ্ছা অনুসারে সরকার ৬টি দুর্নীতি-বিরোধী বিল আনতে চায় কাল থেকে শুরু হওয়া সংসদে। কিন্তু তেলঙ্গানা নিয়ে কংগ্রেস নেতারাই এমন হট্টগোল করবেন, যে অধিবেশন চলাই দায় হয়ে উঠবে। এর মধ্যে বিল পাশ হলে তার কৃতিত্ব নেবেন রাহুল। আর না হলে কংগ্রেস তার দায় চাপাবে বিরোধীদের উপরে। কংগ্রেস শুধু মিথ্যা প্রচার করেই জনতাকে বিভ্রান্ত করতে চায়। |
|
|
 |
|
|
