বাঙালির ‘ভ্যালেন্টাইন’স ডে’-র এ বারের ঠিকানা বইমেলা।
মঙ্গলবার, সরস্বতী পুজোর দিন দুপুর থেকেই বইমেলায় শুরু হয়ে যায় জনস্রোত। যে জনতার বেশির ভাগটাই তরুণ-তরুণী। সন্ধের দিকে, পাবলিশার্স অ্যান্ড বুকসেলার্স গিল্ডের হিসেব অনুযায়ী, ভিড় তিন লক্ষ ছুঁইছুঁই হয়। তার উপর এ দিন দুপুরে বইমেলায় হাজির ছিলেন দেব। তিনি যত ক্ষণ ছিলেন তাঁকে ঘিরে উত্তাল হয়ে ওঠে বইমেলার জনতা। |
বইমেলায় দেব। মঙ্গলবার। ছবি: শুভাশিস ভট্টাচার্য। |
তবে, কোথাও কোনও বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়নি। এ দিন অবশ্য একটি পত্রিকার বইপ্রকাশ অনুষ্ঠান ঘিরে রাজনৈতিক তর্কবিতর্কে উত্তপ্ত পরিবেশ তৈরি হওয়ার একটা আশঙ্কা ছিল। ওই সভায় ছিলেন সিপিএম বিধায়ক আব্দুর রেজ্জাক মোল্লা, আইপিএস নজরুল ইসলাম, শিক্ষাবিদ সুনন্দ সান্যাল প্রমুখ। সভায় সরকারবিরোধী কিছু বক্তব্যও রাখা হয়। কিন্তু পাবলিশার্স অ্যান্ড বুকসেলার্স গিল্ডের ‘সংযত’ আচরণে শেষ পর্যন্ত কোনও গোলমাল হয়নি। এ প্রসঙ্গে গিল্ডের সভাপতি সুধাংশুশেখর দে বলেন, “আমরা জোর করব না। কিন্তু সকলের কাছে অনুরোধ করব, বইমেলাকে যেন রাজনৈতিক ভাবে ব্যবহার করা না হয়।” পাশাপাশি, ‘জাগো বাংলা’-র স্টলের উল্টোদিকে বড় স্ক্রিনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ব্রিগেড মিটিংয়ের ভিডিও-ও আজ আর দেখা যায়নি।
বইমেলায় সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে বেশ কয়েকটি বই। শংকরের ‘আশ্চর্য বিবেকানন্দ’ প্রকাশিত হয়েছে। জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুরের অনুবাদ করা সব সংস্কৃত নাটক নিয়ে বেরিয়েছে ‘সংস্কৃত নাট্যসংগ্রহ’। এ ছাড়া, সুজিত রায়ের ‘গোপাল ভাঁড়ের সন্ধানে’, অগ্নি রায়ের কবিতার বই ‘সূর্যাস্তের সঙ্গদোষ’, সিদ্ধার্থ চক্রবর্তীর কবিতার বই ‘এক হাত থেকে অন্য হাতে’।
কার্টুনও দিব্য হাজির বইমেলায়। দুষ্প্রাপ্য ব্যঙ্গকৌতুকের গল্প ও কার্টুন নিয়ে প্রকাশিত হয়েছে শুভঙ্কর রায়চৌধুরীর ‘ব্যঙ্গকৌতুকে সচিত্র ভারত’। কার্টুন আছে স্টলেও। বিজল্প-এ আছে রাজনৈতিক কার্টুনের বইপত্র। প্রকাশিত হয়েছে নলিনী বেরার ‘এ পার গঙ্গা ও পার গঙ্গা’, জয়ন্ত দে-র দুটি বই, ‘মৃত না জীবিত’ আর ‘পরির দেখানো আলো’। |