রূপনারায়ণপুরে ব্যবসায়ীর বাড়িতে লুঠপাটের ঘটনার চার দিন পরেও দুষ্কৃতীদের হদিস পায়নি পুলিশ। তবে কিছু সূত্র পাওয়া গিয়েছে বলে জানিয়েছেন আসানসোল-দুর্গাপুরের পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল। সেই সূত্র ধরে খুব দ্রুত দুষ্কৃতীদের ধরা হবে বলেও জানান তিনি।
গত ৩১ জানুয়ারি সন্ধ্যায় রূপনারায়ণপুরের পুলিশ ফাঁড়ির অদূরে ওই ব্যবসায়ীর বাড়িতে লুঠপাট চালায় জনা সাতেকের একটি দুষ্কৃতী দল। পরিবারের সদস্যদের দড়ি দিয়ে বেঁধে ঘরে বন্ধ করে রেখে প্রায় ঘণ্টাখানেক তারা লুঠপাট করে। এই ঘটনার পরেই এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। সীমানা এলাকায় পুলিশি নিরাপত্তাহীনতার প্রশ্ন ওঠে। কারণ, এই ঘটনার ঠিক এক মাস আগে বরাকরের এক ব্যবসায়ীর বাড়িতেও লুঠপাটের ঘটনা ঘটেছিল। সে বারও দুষ্কৃতীরা মাঝ রাতে পরিবারের সদস্যদের বেঁধে রেখে যথেচ্ছ লুঠপাট চালায়। বারবার এই ধরনের ঘটনায় এলাকার ব্যবসায়ী ও উদ্যোগপতিদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। একাধিক বণিক সংগঠনের তরফে পুলিশ কমিশনারের কাছে সীমানা লাগোয়া এলাকায় নিরাপত্তা বাড়ানোর দাবি জানানো হয়। প্রয়োজনে সীমানার থানাগুলিতে পুলিশকর্মীর সংখ্যা বাড়ানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়। আধুনিক নানা ব্যবস্থা নেওয়ারও অনুরোধ জানানো হয়।
সাধারণ বাসিন্দা থেকে এলাকার ব্যবসায়ীদের এই অনুরোধের প্রেক্ষিতে পুলিশ কী ব্যবস্থা নিয়েছে, তা জানতে চাওয়া হলে পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল বলেন, “আমরা বেশ কয়েকটি পদক্ষেপ করেছি। আশা করি, আর কোনও সমস্যা হবে না।” পুলিশ কমিশনার জানান, সীমানা এলাকার এই সমস্যা অনেক দিনের। সেই জন্য পাশ্ববর্তী থানাগুলির আধিকারিকদের সঙ্গে নিয়মিত বৈঠক করে দুষ্কৃতীদের গতিবিধি নজরে রাখার ব্যবস্থা হচ্ছে। এই রাজ্যের সীমানা এলাকার থানাগুলিতে পুলিশের সংখ্যাও বাড়ানো হচ্ছে। রূপনারায়ণপুরে লুঠপাটের ঘটনায় জড়িতদের খুঁজে বের করা প্রসঙ্গে পুলিশ কমিশনার বলেন, “বরাকরের ঘটনায় পুলিশ যেমন অভিযুক্তদের পাকড়াও করেছে, তেমনই এই ঘটনাতেও জড়িতদের শীঘ্র ধরে ফেলবে পুলিশ।” |