সরস্বতী পুজো উপলক্ষে স্কুল হস্টেলের আবাসিক পড়ুয়াদের টানা ৭ দিন ছুটি দিয়ে বাড়ি চলে যেতে বলার বিপাকে ছাত্রীরা। ঘটনায় ক্ষুব্ধ স্কুল পরিচালন সমিতির একাংশ এবং অভিভাবকেরা। দক্ষিণ দিনাজপুরে বালুরঘাট খাদিমপুর গার্লস হাইস্কুলের ঘটনা। স্কুল সূত্রের খবর, প্রধান শিক্ষিকার নির্দেশে গত শনিবার থেকে আবাসিক ছাত্রীদের হস্টেল থেকে ছেড়ে চলে যেতে হচ্ছে বলে অভিযোগ। ১০ ফেব্রুয়ারি তাদের ফিরতে বলা হয়েছে। ওই হস্টেলে পঞ্চম থেকে দশম শ্রেণির ১৩০ জন তফসিলি ও আদিবাসী শ্রেণীর ছাত্রী থাকে। খরচ সরকার বহন করে। জেলা স্কুল পরিদর্শক (মাধ্যমিক) দীপঙ্কর রায় বলেন,“বিষয়টি নিয়ে স্কুলের পরিচালন সমিতির সঙ্গে কথা বলা হচ্ছে।” ছাত্রীদের কাছ থেকে খবর পেয়ে রবিবার সকালে অভিভাবকেরা এসে স্কুলের সামনে ভিড় করেন। অনেকে মেয়েদের নিয়ে বাড়ি নিয়ে চলে যান। অভিভাবকদের অভিযোগ, “স্কুলে সরস্বতী পুজো হচ্ছে। অথচ আবাসিক ছাত্রীদের পুজো অনুষ্ঠানে যুক্ত করার বদলে হঠাৎ করে বাড়ি চলে যেতে বলা হয়েছে। অধিকাংশ দুঃস্থ পরিবার। বাড়িতে পুজো হয় না। মেয়েরা হস্টেলে থেকে স্কুলের পুজোয় আনন্দ করে। স্কুল কর্তৃপক্ষ এমন কেন করল বোঝা যাচ্ছে না।” পরিচালন সমিতির সদস্য অখিল কর্মকারের অভিযোগ, “আলোচনা না করে কী করে একক ভাবে প্রধান শিক্ষিকা ওই সিদ্ধান্ত নিলেন তা বোঝা যাচ্ছে না। পরিচালন সমিতিকে বিষয়টি দেখতে হবে। পুজো উপলক্ষে আজ, সোমবার থেকে বুধবার তিনদিন স্কুলে পঠনপাঠন বন্ধ থাকে। তার পরেও কেন ছুটি দেওয়া হল পরিষ্কার নয়।” এই বিষয়ে প্রধান শিক্ষিকা কল্পিতা মৈত্র জানান, সরস্বতী পুজোর জন্য আজ, সোমবার থেকে বুধবার স্কুল হবে না। তা ছাড়া হস্টেলে রান্নার কাজে যুক্ত মহিলা কর্মীদের সমস্যা থাকায় হস্টেল বন্ধ করে ছাত্রীদের বাড়ি চলে যেতে বলেছি। পরিচালন সমিতির সভাপতি পুরো বিযয়টি জানেন। আর স্কুলের পরিচালন সমিতির সভাপতি তথা এবিটিএর জেলা সম্পাদক কল্যাণ দাস বলেন, “রান্নার কর্মী নিয়ে সমস্যার জন্য হস্টেলে ছুটি দেওয়া হয়েছে বলে শুনেছি। এ নিয়ে আজ বৈঠক হবে।” |