কালিয়াচক কলেজের ছাত্র সংসদ নির্বাচনের দিন প্রকাশ্যে গুলি বোমা ছুঁড়ে হামলা চালানোর অভিযোগে ধৃত তৃণমূল কংগ্রেসের সুজাপুরের অঞ্চল সভাপতি সহরুল বিশ্বাস সহ তিনজন তৃণমূল কংগ্রেসর কর্মীকে পুলিশ গ্রেফতার করায় দলের অন্দরে ক্ষোভ দানা বেধেছে। এই ঘটনায় দলের একাংশ জেলা নেতা জেলা পুলিশ সুপারের ভূমিকা নিয়েও ক্ষোভ জানান বলে দলীয় সূত্রের খবর। রবিবার সকালে কালিয়াচকের দলের একাধিক নেতা কর্মীরা দলের জেলা সভাপতি তথা রাজ্যের সমাজকল্যাণ মন্ত্রী সাবিত্রী মিত্রের বাড়িতে গিয়ে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ জানিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। এ বিষয়ে, তৃণমূল বিধায়ক তথা রাজ্যের পযর্টন মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দু চৌধুরী বলেন, “এ বিষয়ে যা বলার দলের জেলা সভাপতি বলবেন। আমি কিছু বলব না।” তৃণমূলের জেলা সভাপতি রাজ্যের সমাজকল্যাণ মন্ত্রী সাবিত্রী মিত্র বলেছেন, “আমি অসুস্থ। দলের রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলার পর যা বলার বলব। এই ব্যাপারে এখন আমি কিছুই বলব না।” |
পুলিশি হেফাজতে সহরুল বিশ্বাস। মনোজ মুখোপাধ্যায়ের তোলা ছবি। |
এই প্রসঙ্গে জেলা পুলিশ সুপার কল্যাণ মুখোপাধ্যায় এই দিন বলেন, “কালিয়াচক কলেজ ভোটের দিন যে দুষ্কৃতীরা প্রকাশ্যে গুলি আর বোমা ছুড়েছিল, ভিডিও ফুটেজ দেখে শুধু তাদেরকেই গ্রেফতার করা হয়েছে। নানা দলের মোট চার জন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ভিডিও ফুটেছে থাকা এখনও দু’জনের খোঁজে তল্লাশি চলছে।” পুলিশের ভূমিকা নিয়ে শাসক দলের সমর্থকদের ক্ষোভ নিয়ে পুলিশ সুপার বলেন, “আমি মন্তব্য করব না। তবে পুলিশ নিরপেক্ষ কাজ করছে।”
গুলি চালানোর অভিযোগে ধৃত ধৃত সুজাপুরের অঞ্চল তৃণমূল সভাপতি সহরুল বিশ্বাস ও সিপিএমের আমিনূল শেখকে রবিবার আদালতে তোলা হলে মুখ্য বিচারবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট তাদের জামিন নামঞ্জুর করে চার দিনের পুলিশ হেফাজতে পাঠিয়েছেন। ২৭ ডিসেম্বর কালিয়াচক কলেজ ভোটে প্রকাশ্য গুলি, বোমা ছোড়ার অভিযোগ ওঠে। কালিয়াচকের তৃণমূল নেতাদের অভিযোগ, বেছে বেছে তাঁদের দলের নেতা-কর্মীদেরই গ্রেফতার করা হচ্ছে। |