সঙ্কটকালে বহরমপুরের ফ্রেন্ডস ইউনিয়ন ময়দানে জনসভায় ভিড়ের বহর উৎসাহ জোগাল বামফ্রন্ট নেতৃত্বকে। বহরমপুর বরাবরই কংগ্রেসের অধীর চৌধুরীর দুর্গ। তার উপরে মমতা জমানায় অধিকাংশ জায়গাতেই বামেদের ক্ষয় এবং তৃণমূলের স্ফীতি দেখতেই মানুষ অভ্যস্ত। কিন্তু রবিবার বহরমপুরে ব্রিগেডের প্রচার-সভায় জনসমাবেশ দেখে ‘উচ্ছ্বসিত’ বাম নেতৃত্ব। সিপিএম বিধায়ক আনিসুর রহমানের কথায়, “আমাদের সব হিসেব বদলে দিয়েছে মানুষের এই ভিড়।” আর মূল বক্তা, বিরোধী দলনেতা সূর্যকান্ত মিশ্রের মন্তব্য, “আগামীর লড়াইয়ে এই মানুষদের আমাদের পাশে পেতে হবে।” তাঁর আরও আহ্বান, “তৃণমূলের ব্রিগেড সমাবেশ থেকে রাজনৈতিক দূষণ ছড়িয়েছে। ৫ ফেব্রুয়ারি বিজেপিও দূষণ ছড়াবে! বামফ্রন্টের ব্রিগেড-সভা থেকে ওই দূষণ সাফ করতে হবে!” |
বহরমপুরের সভায় সূর্যকান্ত মিশ্র। ছবি: গৌতম প্রামাণিক। |
আগামী ৯ ফেব্রুয়ারির ব্রিগেড সমাবেশ উপলক্ষে এ দিনের সভায় জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সমর্থকদের আনতে ৩০০টি বাস ভাড়া করেছিল ফ্রন্ট। তার সঙ্গে ২৫০টি ট্রেকার-লরি এবং প্রায় ১২০০টি মোটরবাইকে চড়ে মানুষ গিয়েছিলেন ওই সভায়। সিপিএমের মুর্শিদাবাদ জেলা সম্পাদক মৃগাঙ্ক ভট্টাচার্য বলেন, “সভায় আসার জন্য তিন মাস ধরে জেলা জুড়ে প্রচার করা হয়েছিল। ভিড়ের জন্য জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা সব মানুষ মাঠে হাজির হতে পারেননি। মাঠের বাইরে উত্তর ও পশ্চিম লাগোয়া রাস্তায় পাঁচিলের উপরে, দক্ষিণ দিক লাগোয়া ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক বরাবর প্রচুর মানুষ ছিলেন।” মৃগাঙ্কবাবুর প্রত্যয়, “এই ভিড় আগামী লোকসভা ভোটে ব্যালট বাক্সে প্রভাব ফেলবেই।” জেলা গোয়েন্দা দফতরের অবশ্য হিসেব, এ দিন মাঠে ছিলেন ১৫ হাজার মানুষ। যদিও ওই মাঠে ২৫ হাজারের জমায়েত হওয়া সম্ভব। কংগ্রেসের অধীর-ঘনিষ্ঠ এক নেতার বক্তব্য, “গোটা জেলা থেকেই লোক এনেছিল বামফ্রন্ট। তবে রাজ্য সরকার এবং তৃণমূলের কাজে মানুষ এখন বিরক্ত। তাঁরা বিরোধীদের বক্তব্য শুনতে যাচ্ছেন।” |