আমানতকারীদের টাকা ফেরত দিতে না পারায় লগ্নি সংস্থার এক এজেন্টের মুদির দোকানে তালা ঝুলিয়ে দিল কয়েক জন আমানতকারী। ওই এজেন্টের অভিযোগ, পুলিশকে জানানো হলেও দোকান খোলার ব্যাপারে তারা কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাকদ্বীপের কাশীনগর স্কুলমোড়ে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, কাকদ্বীপ থানার উত্তর লক্ষ্মীনারায়ণপুর গ্রামের বাসিন্দা বাদল গাসের একটি মুদির দোকান রয়েছে। পাশপাশি তিনি ২০০৯ সাল থেকে স্কাইলাইন ফরচুন ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড নামে একটি লগ্নি সংস্থার এজেন্ট হিসাবেও কাজ করতেন। সারদা কাণ্ডের পর এই লগ্নিসংস্থার অফিসও বন্ধ হয়ে যায়। তার পর থেকেই টাকা ফেরত চেয়ে আমানতকারীরা বাদলের বাড়িতে চড়াও হতে থাকেন। গত ২৬ জানুয়ারি একদল জনতা, যাঁদের মধ্যে মহিলারাও ছিলেন বাদলের দোকানে চড়াও হয়ে তাঁকে মারধরের হুমকি দেন। সেই সঙ্গে তাঁকে দোকান থেকে বের করে দিয়ে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। এ ব্যাপারে বাদলবাবু জানান, ওই দোকানের আয়েই তাঁর সংসার চলে। মাস তিনেক আগে স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের উপস্থিতিতে ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে জমি বেচে আমানত কারীদের টাকা ফেরত দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কিন্তু তার পরেও দোকান হামলা চালিয়ে দোকান বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। পুলিশকে বিষয়টি জানিয়ে কোনও লাভ হয়নি। যদিও পুলিশের বক্তব্য, অভিযোগ পেয়ে দোকান খোলার ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। স্থানীয় তৃণমূল সভাপতি কমল ভুঁইঞা বলেন, “আমি আমানতকারীদের ডেকে মীমাংসা করে নিতে বলেছিলাম যাতে দোকানটা খুলতে পারা যায়। কিন্তু আমানতকারীরা রাজি হননি।” |