বিআরজিএফ (ব্যাকওয়ার্ড রিজিওনাল গ্র্যান্ড ফান্ড) প্রকল্পে সুন্দরবনের বেশ কিছু অংশে বিদ্যুৎ পৌঁছেছে ঠিকই। কিন্তু এখনও অন্ধকারে রয়েছে ক্যানিং ২ ব্লকের অধিকাংশ গ্রাম। আঠারো বাঁকি, দেউলি ১ ও ২, তাম্বুলদহ ১ পঞ্চায়েতের বুড়িমারি, সস্তাখালি, কালুগাছি, চুনাঘাটা, পাতিঘাগড়া, মিয়ারখেরি, দারপোতা, গঙ্গাচেরি, হাটবেড়িয়া, মিখালি, বামুনিয়া, কেওড়াতলা, উত্তর দাহারানি, পুরকাইতপাড়া গ্রামে এখনও বিদ্যুতের খুঁটি পোঁতারও কাজ শুরু হয়নি। ফলে সমস্যায় দিন কাটাচ্ছেন গ্রামের মানুষ, যাঁদের বেশিরভাগই বিপিএল তালিকাভুক্ত পরিবার। আবার যে গ্রামগুলিতে সামান্য বিদ্যুদয়ন হয়েছে, সেগুলিতে আবার ভোল্টেজ কম বলে অভিযোগ উঠেছে।
তবে ক্যানিং ২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি শওকত মোল্লা বলেন, “ব্লকের অনেক গ্রামে এখনও বিদ্যুৎ আসেনি ঠিকই। আমরা দফতরের সঙ্গে কথা বলে দ্রুত বিদ্যুদয়নের চেষ্টা করছি। বিডিও সিরাজ ইব্রাহিম লাখানি বলেন, “কয়েকটি পঞ্চায়েত এলাকায় বিদ্যুতের কাজ শেষ পর্যায়ে। তাম্বুলদহ ১ ও দেউলি ১ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় কাজ শুরু করার জন্য দফতরের সঙ্গে আলোচনা করা হয়েছে। আশা করি, দ্রুত ওই সব এলাকায় বিদ্যুৎ পৌঁছবে।”
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ক্যানিং ২ ব্লকের ৯টি গ্রাম পঞ্চায়েতের এক থেকে পাঁচটি পঞ্চায়েত এলাকায় বিদ্যুৎ পৌঁছলেও বাকি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকাগুলির মধ্যে বিদ্যুদয়নের কোনও কাজই শুরু হয়নি। স্থানীয় বাসিন্দা সোনামণি সর্দার, বীরবল সর্দার, মণিরুল ইসলাম, পূর্ণিমা সর্দারেরা বলেন, “সরকার বলেছিল বিপিএল তালিকাভুক্তদের বিনামূল্যে বিদ্যুৎ দেবে। অথচ এখনও পর্যন্ত ওই বিদ্যুৎ দেওয়ার কাজ শুরু হল না। অথচ ব্লকের অন্যান্য জায়গায় বিদ্যুৎ পৌঁছে গিয়েছে। প্রশাসনের দ্বারস্থ হলেও কোনও সদুত্তর পাইনি।”
গ্রামীণ বিদ্যুদয়ন প্রকল্পের প্রজেক্ট ম্যানেজার দীপঙ্কর চৌধুরী বলেন, “বিআরজিএফ প্রকল্পে একেকটি পঞ্চায়েত ধরে ধরে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে কাজ করা হচ্ছে। অনেক জায়গাতেই এখনও কাজ শুরু করা যায়নি। ক্যানিং ২ ব্লকের ওই এলাকায় যাতে দ্রুত কাজ শুরু করা যায়, তার চেষ্টা চলছে।” |