ফের সোনার দোকানের তালা ভেঙে চুরি হল বসিরহাটের বেড়াচাঁপায়। এই ঘটনায় এলাকায় ক্রমশ বেড়ে চলা চুরি, ছিনতাইয়ের ঘটনায় পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলে দোকান বন্ধ রেখে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখালেন স্বর্ণব্যবসায়ীরা। রবিবার সকালে দেগঙ্গার বেড়াচাঁপায় টাকি রোডে অবরোধের ফলে এক ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এলাকায় যানজট তৈরি হয়। পরে পুলিশ এসে দ্রুত দুষ্কৃতীদের গ্রেফতারের প্রতিশ্রুতি দিলে অবরোধ ওঠে। তবে সারা দিন দোকানপাট বন্ধ রাখা হয়েছিল।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন সকালে বেড়াচাঁপা বাজার সংলগ্ন এলাকায় বাসুদেব সরকার নামে এক ব্যবসায়ীর দোকান শাটার ভাঙা অবস্থায় দেখতে পান স্থানীয় বাসিন্দারা। দোকানে গিয়ে দেখা যায়, সিন্দুক ও শো-কেস ভাঙা। |
বাসুদেববাবুর দাবি, লক্ষাধিক টাকার গয়না ও নগদ বেশ কিছু টাকা নিয়ে পালিয়েছে দুষ্কৃতীরা। এর পরে টাকি রাস্তার পাশে পুলিশকে ঘেরাও করে বিক্ষোভ করতে শুরু করেন তাঁরা। তাঁদের দাবি, গত এক বছরে বেড়াচাঁপা, গোসাইপুর, সন্নেপুকুর, জীবনপুর, হামাদামা এলাকায় ১৫টি দোকানে লুঠ হয়েছে। প্রতিশ্রুতি দেওয়া সত্ত্বেও একটি দুষ্কৃতীকেও ধরতে পারেনি পুলিশ।
ওই বাজারের এক স্বর্ণ ব্যবসায়ী শেখর স্বর্ণকার বলেন, “বিয়ের মরসুমে দোকান বন্ধ রাখলে ব্যবসার ক্ষতি হবে জেনেও বাধ্য হয়ে সব দোকান বন্ধ রেখে রাস্তায় নামতে হয়েছে। দিনের পর দিন দুষ্কৃতীরা লুঠ চালাচ্ছে। অথচ কেউ ধরা পড়ছে না। এটা মেনে নেওয়া যায় না।”
বঙ্গীয় স্বর্ণশিল্পী সমিতির বেড়াচাঁপা-দেগঙ্গা শাখার সম্পাদক সুবোধ রায় বলেন, “লাখ লাখ টাকার ক্ষতি হচ্ছে ব্যবসায়ীদের। তাই দোকান বন্ধ করে আন্দোলন করতে বাধ্য হচ্ছি।”
পুলিশ জানায়, তদন্ত শুরু হয়েছে। ওই দোকানের কিছু সিসিটিভি ফুটেজ মিলেছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, তিন দুষ্কৃতী ওই কাজ করেছে। শীঘ্রই অপরাধীদের ধরা হবে। |