|
|
|
|
ফুল চাষে খরচের টাকা পেতে মাসে দু’শোরও বেশি আবেদন
নিজস্ব সংবাদদাতা • ঘাটাল |
প্রচারের সুফল মিলছে হাতে-নাতে। জাতীয় উদ্যান পালন মিশনের টাকায় ভর্তুকি পেতে জেলা উদ্যান পালন দফতরে আবেদন জমা পড়ছে প্রচুর।
ফুল চাষে উৎসাহ দিতে বেশ কয়েক বছর আগেই জাতীয় উদ্যান পালন মিশনের টাকায় চাষিদের এই ভর্তুকি দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। ফুল চাষের পর খরচের কাগজপত্র জমা দিয়ে জেলা উদ্যান পালন দফতরে আবেদন জানালে অনেকটা টাকাই ফেরত পাওয়ার সুযোগ রয়েছে এই খাতে। কিন্তু প্রচারের অভাবে অধিকাংশ চাষি বিষয়টি জানতেন না। ফলে সংশ্লিষ্ট দফতরে এই খাতে কোটি কোটি টাকা এসে পড়ে থাকলেও তা খরচ হয়নি। আনন্দবাজারে এই নিয়ে প্রশ্ন তুলে প্রতিবেদন প্রকাশের পরে প্রচারের উপর জোর দিয়েছিল পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা উদ্যান পালন দফতর। এরপর গত এক মাসে জেলার ফুল প্রধান এলাকা নারায়ণগড়, বেলদা, দাসপুর-সহ একাধিক ব্লক থেকে দু’শোর বেশি ফুল চাষি ভর্তুকির টাকা পাওয়ার জন্য আবেদন করেছেন বলে খবর। আবেদন এখনও আসছে। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা উদ্যান পালন আধিকারিক রণজয় দত্ত বলেন, “দ্রুত আমরা ফিল্ডে গিয়ে পরিদর্শন করব। সব নিয়ম ঠিকঠাক থাকলে টাকা পেয়ে যাবেন চাষিরা। যা আবেদন পড়েছে তাতে এই প্রকল্পে যে টাকা রয়েছে (প্রায় ৪৫ কোটি) তার অধিকাংশই খরচ হয়ে যাবে বলে মনে হচ্ছে। টাকা শেষ হলে ফের টাকা চাওয়া হবে। যে কোনও মরসুমেই চাষিরা আবেদন করতে পারেন।” দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্যের অন্য জেলার সঙ্গে পশ্চিম মেদিনীপুরেও ফুল চাষ বাড়ছে ক্রমশ। এই প্রেক্ষিতে উৎসাহ বাড়াতে ভর্তুকি প্রসঙ্গে বিভিন্ন মেলায় স্টল দেওয়ার পাশাপাশি কৃষি মেলাতেও প্রচার করা হয়েছে। ব্লকে-ব্লকে দফতরের কর্মীরাও প্রচার করছেন। ব্লক অফিসের পাশাপাশি পঞ্চায়েত থেকেও প্রচার চালানো হচ্ছে। ফলে ভালই সাড়া মিলছে। অন্য দিকে জাতীয় উদ্যানপালন দফতর ইদানীং জৈব সার তৈরির জন্য সাহায্য করছে। জেলায় এর ভাল বাজার রয়েছে। কম খরচে লাভ বেশি। দফতর সূত্রে খবর, জেলায় জৈব সার তৈরির জন্য বহু বেকার যুবক আবেদন করেছেন ইতিমধ্যে। |
|
|
|
|
|