|
|
|
|
তাজপুরে অবৈধ হোটেল-লজ ভাঙার সিদ্ধান্তে সায় হাইকোর্টের
নিজস্ব সংবাদদাতা • কাঁথি |
সৈকত পযর্টনকেন্দ্র তাজপুরে বেআইনি ভাবে নির্মিত হোটেল-লজ ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্তে সবুজ সঙ্কেত দিল কলকাতা হাইকোর্ট। গত ডিসেম্বরে তাজপুরের এক হোটেল মালিক বেআইনি হোটেল-লজ ভেঙে ফেলার প্রশাসনিক সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেন। গত ৯ জানুয়ারি হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বনাথ সমাদ্দার ওই আবেদন খারিজ করে দেন। রামনগর ১ ব্লকের বিডিও তমোজিৎ চক্রবর্তী জানান, ব্লক প্রশাসনের কাছে রায়ের কপি এসেছে। বেআইনি হোটেল-লজগুলির বিরুদ্ধে এ বার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পরিবেশ দফতরের সিআরজেড বিধি অনুযায়ী, উপকূলের উচ্চ জোয়ার এলাকার পাঁচশো মিটারের মধ্যে কোনও স্থায়ী কাঠামো নির্মাণ অবৈধ। অথচ সেই নিষেধাজ্ঞাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে তাজপুরে সমুদ্র সৈকতে গজিয়ে উঠেছে একাধিক হোটেল ও লজ। গত অক্টোবরে আনন্দবাজার পত্রিকায় এই সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। তারপর গত নভেম্বরে দিঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদ (ডিএসডিএ) ও ব্লক প্রশাসন তাজপুরের হোটেলগুলিতে অভিযান চালায়। অভিযানে প্রতিটি হোটেলের নির্মাণ সংক্রান্ত বৈধ কাগজপত্র দেখতে চাওয়া হয়। সেই সময় তাজপুরে ‘লা-বেলা’, ‘সানরাইজ, ‘পাম ভিলেজ রিসর্ট’ ও ‘নেচার ভিউ’-এই চারটি হোটেল প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেখাতে না পারায় তাদের শো-কজ করা হয়। গত ২১ অক্টোবর ব্লক প্রশাসনের পক্ষ থেকে পশ্চিমবঙ্গ পঞ্চায়েত আইন ১৯৭৩’-এর ১১৪(ক), ১৬ উপধারা অনুযায়ী তাজপুরের ওই চারটি হোটেলে শো-কজ নোটিস পাঠানো হয়। শো-কজের উত্তর সন্তোষজনক না হওয়ায় গত ১১ ডিসেম্বর ডিএসডিএ ও ব্লক প্রশাসনের পক্ষ থেকে একমাসের মধ্যে ওই হোটেলগুলি ভেঙে ফেলার নির্দেশ জারি হয়। নোটিসে বলা হয়, নির্ধারিত এক মাস সময়সীমার মধ্যে হোটেল ভাঙা না হলে প্রশাসনই হোটেলগুলি ভেঙে দেবে। এবং হোটেল ভাঙার যাবতীয় ব্যয়ভার হোটেল কর্তৃপক্ষকেই বহন করতে হবে। এই নির্দেশের বিরুদ্ধে ‘লা-বেলা’ হোটেলের মালিক প্রসেনজিৎ হুই কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বনাথ সমাদ্দারের এজলাসে মামলা দায়ের করেন। গত ৯ জানুয়ারি হাইকোর্ট ওই মামলা খারিজ করে দেয়। |
|
|
|
|
|