রূপনারায়ণের বাঁধে ধস, আতঙ্ক
ফের রূপনারায়ণের বাঁধে ধস নামল। এ বার কোলাঘাট শহরের পুরাতন বাজারের কাছে পীরতলায়। কোলাঘাট থেকে জশাড়গামী প্রায় ২০০ ফুট দীর্ঘ বাঁধে এই ধসের জেরে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে। পরিস্থতি সামাল দিতে ওই নদী বাঁধ দিয়ে ভারী যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। গত শুক্রবার সেচ দফতরের চিফ ইঞ্জিনিয়ার-সহ পদস্থ আধিকারিকরা এলাকায় গিয়ে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন এবং দ্রুত মেরামতির নির্দেশ দেন।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, গত প্রায় ১৫ বছর ধরে এই এলাকায় রূপনারায়ণের বাঁধে একাধিকবার ধস নেমেছে। সেচ দফতর অস্থায়ী ভাবে তা মেরামত করলেও স্থায়ী ভাবে বাঁধ রক্ষার জন্য কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। এলাকার বাসিন্দা শান্তনু গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “গত চার-পাঁচ দিন ধরে নদীবাঁধের প্রায় ২০০ ফুট এলাকায় স্রোতের দিকের অংশে একটু একটু করে নেমে যেতে থাকে। শনিবার কয়েক ফুট অংশ ধসে বিপজ্জনক পরিস্থিতি তৈরি হয়ে গিয়েছে। যে কোনও সময় নদীবাঁধ ভেঙে যাওয়ার আশঙ্কায় রয়েছি।” ওই এলাকায় নদীবাঁধের ধারে বেশ কিছু দোকান রয়েছে। অঘটনের আশঙ্কায় দিন কাটছে দোকানদারদেরও।

কোলাঘাট থেকে জশাড়গামী প্রায় ২০০ ফুট দীর্ঘ বাঁধে
পীরতলায় তৈরি হয়েছে বিপজ্জনক ফাটল।—নিজস্ব চিত্র।
নদীবাঁধের কাছে শহরের ওই এলাকাতেই বাড়ি কোলাঘাটের তৃণমূল বিধায়ক বিপ্লব রায়চৌধুরীর। বিপ্লববাবু রবিবার বলেন, ‘‘কোলাঘাট শহরের দেনান থেকে পুরাতন বাজারের এই এলাকা পর্যন্ত প্রায় তিন কিলোমিটার দীর্ঘ অংশে রূপনারায়ণের স্রোত ধাক্কা মারছে। ঠিক উল্টোদিকে (হাওড়া জেলা) দ্রুত পলি জমা হয়ে নদীর চর ক্রমশ বাড়ছে। কয়েক দিন আগে এ পাশে নদীর বাঁধের একাংশ আস্তে আস্তে করে বসতে শুরু করে। এখন কয়েক ফুট ধসে গিয়েছে। এর ফলে নদীবাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে বিপজ্জনক অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। বাঁধ মেরামতির জন্য সেচ দফতরের আধিকারিক ও মন্ত্রীকে বিষয়টি জানানো হয়েছে।”
সেচ দফতরের মেদিনীপুর বিভাগের সুপারিন্টেনডেন্ট ইঞ্জিনিয়ার সুবীরকুমার লাহা বলেন, “পীরতলার কাছে রূপনারায়ণের বাঁধে ধস নামা বহু পুরনো সমস্যা। নদীর গতিপ্রকৃতির জন্যই মূলত এই সমস্যা। তবে ওখানে বাঁধের পাশেই একটি বড় পুকুর আছে। সেই কারণেও সমস্যা হচ্ছে। বাঁধ মেরামতির জন্য ওই পুকুরের একাংশ ভরাট করার কাজ হবে। বাঁধের দুদিকেই মেরামতির কাজ হবে।” পূর্ব মেদিনীপুর জেলা বন্যা, ভাঙন, খরা প্রতিরোধ কমিটির আহ্বায়ক নারায়ণ নায়েক আবার দাবি করেন, ‘‘কোলাঘাটে নদীবাঁধ ভাঙন স্থায়ী ভাবে রুখতে হাওড়া জেলার দিকে নদীর পলি সরাতে হবে সেচ দফতরকে।”


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.