|
|
|
|
ব্যাঙ্কের নামে ভুয়ো ফোনে ফের প্রতারণা
নিজস্ব সংবাদদাতা • খড়্গপুর |
ফের ব্যাঙ্ক আধিকারিকের পরিচয় দিয়ে ভুয়ো ফোন। একই কায়দায় এটিএমের পিন কোড নম্বর জেনে নিয়ে টাকা প্রতারণার অভিযোগ। গ্রাহকদের সচেতনতা বাড়াতে ব্যাঙ্কের প্রচার চলছে। তারপরেও ফের অসতর্কতার বলি হতে হল খড়্গপুরের শহরের ভবানীপুরের বাসিন্দা রাজীব সাহাকে।
গত ২৬ জানুয়ারি একটি অচেনা নম্বর থেকে রাজীববাবুর কাছে ফোন আসে। একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের মুম্বই শাখা অফিস থেকে ফোনটি করা হচ্ছে বলে জানানো হয়। রাজীববাবুর কথায়, “ফোনে ওই ব্যাক্তি নিজেকে ব্যাঙ্কের আধিকারিক বলে পরিচয় দেন। তিনি ব্যাঙ্কের এটিএমের পিন কোড পরিবর্তন করা হচ্ছে বলে জানান। আমার কাছে এটিএম কার্ডের নম্বর ও পুরনো পিন কোর্ড জানতে চাওয়া হয়। ওই ব্যাক্তি ফোনটি কেটে দেওয়ার পর এক ঘণ্টা ফোন বন্ধ রাখতেও বলেন।” পরদিন টাকা তুলতে এটিএমে গিয়ে রাজীববাবু দেখেন তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে ২৪,০০০ টাকা উধাও। খড়্গপুর টাউন থানায় তিনি ঘটনার অভিযোগ দায়ের করেন। পেশায় রেলকর্মী রাজীববাবু বলেন, “আমার দোষেই যে এই ঘটনা ঘটেছে, তা পরে বুঝতে পেরেছি। প্রথমে থানায় অভিযোগ দায়ের করতে গেলে তাদের কিছু করার নেই বলে জানায় পুলিশ। ব্যাঙ্কও করণীয় কিছু নেই বলে দায় এড়ায়। শেষে সহকর্মীদের পরামর্শ মেনে থানায় অভিযোগ দায়ের করি।”
শুধু খড়্গপুর নয়, গত কয়েকদিন ধরে এরকম ভুয়ো ফোনে প্রতারিত হয়েছেন একাধিক গ্রাহক। এক্ষেত্রে কখনও ‘ভেরিফিকেশন’-এর কাজ, আবার কখনও পিন কোড পরিবর্তনের নাম করে গ্রাহকের কাছ থেকে অ্যাকাউন্ট নম্বর ও এটিএমের পিন কোড জেনে নেওয়া হচ্ছে। অনেক সময় ইন্টারনেট বা ফোনে লটারি লেগেছে বলে জানিয়ে ‘প্রসেসিং ফি’ বাবদ টাকা জমা করতে বলেও প্রতারনার ঘটনা ঘটছে। তবে গ্রাহকরা সচেতন না হলে এধরনের ঘটনা এড়ানো যাবে না বলে অভিমত অধিকাংশ ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের।
গ্রাহকদের প্রতারণার ঘটনা রুখতে ব্যাঙ্কের পক্ষ থেকে এটিএম কার্ডের সঙ্গে পাঠানো কাগজ, প্রতিটি এটিএম কাউন্টার, খবরের কাগজে বিজ্ঞাপন দেওয়া হচ্ছে। তারপরেও এমন ঘটায় গ্রাহকদের অসচেতনতাকেই দায়ী করছেন ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ। ওই রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের খড়্গপুরের আঞ্চলিক ম্যানেজার পার্থ সেন জানান, এটিএম পিন নম্বর কোনও অবস্থাতেই কাউকে জানানো উচিত নয়। এই ধরনের ঘটনা কারা ঘটিয়েছে তা একমাত্র পুলিশই খুঁজে বের করতে পারে। এই কাজে সক্রিয় অনেক চক্র ধরাও পড়ছে। তবে এধরনের ঘটনা রুখতে গ্রাহকদের সচেতন করা জরুরি। |
|
|
|
|
|