|
|
|
|
ইনারলাইন পারমিট নিয়ে আন্দোলন স্থগিত |
নিজস্ব সংবাদদাতা • গুয়াহাটি
২ ফেব্রুয়ারি |
চার মাস পর অবশেষে বন্ধ, অবরোধ, বিক্ষোভে বিরতি মেঘালয়ে। ইনারলাইন পারমিটের দাবিতে আন্দোলনকারী সংগঠনগুলির সঙ্গে আলোচনায় বসল রাজ্য সরকার।
অনুপ্রবেশ রুখতে ও বহিরাগত প্রসঙ্গে রাজ্যে যে ৫২টি আইনের ধারা চালু রয়েছে, সেগুলি নিয়ে বিবেচনা করতে রাজি হয়েছে সংগঠনগুলির যৌথ মঞ্চ। সচিবালয়ে ওই বৈঠক হয়। তাতে সভাপতিত্ব করেন মুখ্যমন্ত্রী মুকুল সাংমা। তারপরই রাজ্যে নৈশ অবরোধ, বহিরাগত বিতাড়ন-সহ অন্য আন্দোলন বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
আন্দোলনের জেরে চার মাসে রাজ্যে প্রায় ৪০ কোটি টাকার সম্পত্তি নষ্ট হয়েছে। মৃত্যু হয়েছে চারজনের। গ্রেফতার করা হয় অনেককে। আন্দোলনকারীদের বক্তব্য ছিল, কয়েক দশক ধরে রাজ্যে বহিরাগতদের সংখ্যা বেড়েছে। ভূমিপুত্রদের অধিকার খর্ব হচ্ছে। তাই সেখানে ইনার লাইন পারমিট চালু করতে হবে। তাঁরা জানায়, ‘ইস্টার্ন বেঙ্গল ফ্রন্টিয়ার রেগুলেশন ১৮৭৩’ আইনের ৪ নম্বর ধারায়, রাজ্যের নিজস্ব প্রয়োজনভিত্তিক নিয়ম তৈরির সুযোগ রয়েছে। কিন্তু, কেন্দ্র জানিয়ে দেয়, মেঘালয় ও মণিপুরে নতুন করে ইনারলাইন পারমিট চালু করা যাবে না।
বৈঠকে যৌথ মঞ্চের প্রতিনিধিদের মুখ্যমন্ত্রী জানান, রাজ্যে বহিরাগতদের নিয়ন্ত্রণ এবং অনুপ্রবেশ প্রসঙ্গে ৫২টি আইন প্রচলিত রয়েছে। সেই আইনগুলি দৃঢ়ভাবে লাগু ও প্রয়োজনে সংশোধন করে অনুপ্রবেশ আটকানো সম্ভব। তাই, ৫২টি আইনের তালিকা প্রতিনিধিদের বিবেচনা করে দেখতে আবেদন জানান তিনি। দ্রুত আইনগুলির প্রতিলিপি সংগঠনগুলির কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে। পাশাপাশি চলবে আলোচনাও।
যৌথ মঞ্চের তরফে আগে জানানো হয়েছিল, তারা ইনারলাইন পারমিট চালু করা ছাড়া অন্য শর্তে রাজি হবে না। কিন্তু, বৈঠকের পরেও তারাও সুর নরম করেছে। তাদের তরফে জানানো হয়েছে, আপাতত সব আন্দোলন স্থগিত রাখা হবে। আইনগুলি খতিয়ে দেখে পরবর্তী কর্মসূচি ঠিক করা হবে। কেএসইউ সভাপতি ড্যানিয়েল খিরিয়েম জানান, “বৈঠকে রাজ্য সরকার আইএলপি লাগু করার বিভিন্ন সমস্যার বিষয় তুলে ধরেছে। কিন্ত, আমরা দাবি এখনই ছাড়ছি না। আইন খতিয়ে দেখে নিজেদের মধ্যে বৈঠক করব। তারপর ফের রাজ্য সরকারের সঙ্গে বৈঠক হবে।” আন্দোলন চলাকালীন গ্রেফতার হওয়া সকলের মুক্তির দাবিও জানিয়েছে যৌথ মঞ্চ। |
|
|
|
|
|