দুপুরে বাড়িতে মায়ের পাশে ঘুমিয়ে ছিল ন’বছরের ছেলে। কখন ঘুম থেকে উঠে বেরিয়ে গিয়েছে, জানতেও পারেননি মা। শনিবার রাতে পুলিশে নিখোঁজ ডায়েরি করে পরিবার। রবিবার বাড়ি থেকে কিছু দূরের একটি অফিস চত্বরের জলাধারে মেলে ওই বালকের মৃতদেহ। পুলিশ জানিয়েছে, ওই জলাধারের ঢাকনাটি মাসখানেক আগে চুরি হয়ে গিয়েছে। |
নিখোঁজ বালকের দেহ বেলেঘাটার এক সরকারি অফিসের জলাধারে। |
ঘটনাটি ঘটেছে বেলেঘাটার বিক্রয়কর অফিসের ভিতরে। পুলিশ জানায়, মৃত সুমিত সাউয়ের (৯) বাড়ি লাগোয়া লিচুবাগান বস্তিতে। এ দিন খোঁজাখুঁজির সময়ে এলাকাবাসীরা জলাধারে দেহটি দেখেন। স্থানীয় বাসিন্দা বাবন দাস বলেন, “আমরা বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ করেছি। আজ সকালে ওই অফিসে গিয়ে দেখি, জলাধারে পড়ে রয়েছে সুমিত।” এ দিন ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, জলাধারের একটি ঢাকনা নেই। সেখানে মোতায়েন পুলিশ।
তদন্তকারীদের অনুমান, ঢাকনাহীন জলাধারে পড়ে মৃত্যু হয়েছে ওই বালকের। তবে জলাধারটি উঁচু লোহার রেলিং দিয়ে ঘেরা। স্থানীয়রা জানান, পাড়ার বাচ্চারা ওই অফিস চত্বরে খেলতে যায়। শনিবার কাদের সঙ্গে সুমিত সেখানে গিয়েছিল, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। রেলিং টপকে সুমিত কী ভাবে জলাধারে পৌঁছল, তা জানতে তার সঙ্গীদের খোঁজ চলছে। ময়না-তদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট অনুযায়ী, জলে ডুবে মৃত্যু হয়েছে সুমিতের।
শনিবার ছুটি থাকা সত্ত্বেও কী ভাবে ওই অফিস চত্বরে ঢুকল সুমিত? বিক্রয়কর দফতরের কর্তৃপক্ষ জানান, অফিস চত্বর পাহারার দায়িত্বে আছেন কলকাতা পুলিশের এগারো জন সশস্ত্র কর্মী। পুলিশ জানায়, অফিসের একটি গেট সব সময়ে বন্ধ রাখা হলেও অন্যটি খোলা থাকে। পুলিশের দাবি, অফিস চত্বরে কর্মী আবাসন থাকায় কারা ভিতরে ঢুকছে, তা সে ভাবে নজরে রাখা হয় না। যে জলাধারে সুমিতের দেহ মিলেছে, সেটি দেখভালের ভার পূর্ত দফতরের। বিক্রয়কর দফতরের অতিরিক্ত কমিশনার (বাণিজ্যিক) শৈলেন্দ্রনাথ কোলে বলেন, পুরো ঘটনা ও নিরাপত্তা নিয়ে পুলিশ ও পূর্ত দফতরের সঙ্গে কথা বলা হবে। |