সিপিএম কর্মীদের পর এ বার তৃণমূল কর্মীদেরও মারধর এবং খুনের চেষ্টার অভিযোগ উঠল কলকাতা পুলিশের সাসপেন্ড হওয়া কনস্টেবল তারক দাসের বিরুদ্ধে।
পুলিশ জানিয়েছে, শনিবার রাতে তারক ও তাঁর সঙ্গীদের আক্রমণে আহত হয়েছেন তিন জন তৃণমূল কর্মী-সমর্থক। অভিযোগ, পাটুলি থানায় কেন অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে, সেই প্রশ্ন তুলে রবিবার সকালে আবার মারধর করা হয় আহতদের। রবিবার সকালের ঘটনায় আহতদের পক্ষ থেকে তারক ও তার সঙ্গীদের বিরুদ্ধে পাটুলি থানায় খুনের চেষ্টা-সহ একাধিক ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। যদিও পুরো ঘটনা অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত তারক দাস।
কলকাতা পুলিশের ডেপুটি কমিশনার (এসএসডি) সন্তোষ পাণ্ডে বলেন, “দু’টি ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। তারকের খোঁজে তল্লাশি চলছে।” যদিও এ দিন বিকেলে আনন্দবাজারের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন তারক দাস। তারক বলেন, “আমি ওই এলাকায় থাকি না। আমি দক্ষিণ ২৪ পরগনার রবীন্দ্রনগরে থাকি। শনিবার রাতে আমি ঘটনাস্থলেই যাইনি। রবিবার টিভি দেখে ঘটনাটি জানতে পারি।”
পুলিশ জানিয়েছে, শনিবার রাতে বাঘাযতীন রেল স্টেশনে দলীয় পত্রিকা বিলি করছিলেন ছ’জন তৃণমূল কর্মী-সমর্থক। অভিযোগ, ওই সময় তারক দাসের নেতৃত্বে এক দল দুষ্কৃতী দলীয় পত্রিকা কেড়ে নিয়ে ওই সমর্থকদের মারধর করতে থাকেন। আহত তৃণমূল সমর্থক সুদীপ পাল রবিবার বলেন, “তারক ও তার সঙ্গীরা আমাকে রাস্তায় ফেলে মারধর করে।” এ দিন পাটুলি থানার সামনে দাঁড়িয়ে রেলওয়ে তৃণমূল হকার্স ইউনিয়নের সভাপতি এবং ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী সন্দীপ দাস বলেন, “অভিযোগ দায়ের করার পরেই তারকের লোকজন এ দিন আবার আমাদের মারধর করেছে।”
এ দিকে তারকের হাতে তৃণমূল কর্মীদের মারধরের ঘটনার পর দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলা সিপিএম সম্পাদক সুজন চক্রবর্তী বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীর দামাল ছেলেরা এখন নিজের দলের কর্মী সমর্থকদের মারধর করছে।”
এই ঘটনার পরে তারক দাসের পাশে দাঁড়ায়নি তৃণমূলের একাংশও। দলের প্রাক্তন কাউন্সিলর নির্মল দাস বলেন, “দলের শীর্ষ নেতৃত্বকে তারকের বিষয়ে সব জানিয়েছি।”
|