আদিবাসীদের জন্ম, বিয়ে, মৃত্যু, ধর্মীয় রীতি এবং সমাজকে সুস্থ ও সুন্দর করে তোলার সংস্কৃতির সঙ্গে ওতপ্রোত ভাবে যুক্ত সালিশি সভা। তবে ডাইন প্রথার মতো ওই সমাজে প্রচলিত বেশ কিছু কুসংস্কার দূর করে, সমাজের ওই শ্রেণির মানুষদের একাংশের মধ্যে শিক্ষা এবং সচেতনতা বৃদ্ধি করা খুব প্রয়োজন। এ ছাড়াও, ওই সমাজে প্রচলিত সালিশি সভায় বেশ কিছু সংশোধনী প্রয়োজন এমনটাই উঠে এসেছে শনিবারের আদিবাসী সমাজের ‘সালিশি সভার প্রাসঙ্গিকতা ও প্রয়োজনীয়তা’ শীর্ষক একটি আলোচনাসভায়।
বোলপুর মহকুমার আদিবাসীদের সাহিত্য এবং সাংস্কৃতিক পত্রিকা বাকজুলু, উমুল এবং কুলহীধূড়ির উদ্যোগে শ্রীনন্দা উচ্চ বিদ্যালয়ে ওই দিন সন্ধ্যায় আলোচনাসভা হয়েছে। এই মহকুমার ২৫টি আদিবাসী গ্রামের বাসিন্দারা ছাড়াও বাঁকুড়া, মেদিনীপুর এবং বর্দমানের মেমারি থেকেও বেশ কিছু আদিবাসী সমাজের মোড়ল এবং তাদের প্রতিনিধিরা যোগ দিয়েছিলেন।
আদিবাসীদের একটি সংগঠন আসেকার সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক দুঃখিরাম হাঁসদা বলেন, “সালিশি সভার প্রয়োজনীয়তা এবং প্রাসঙ্গিকতা রয়েছে। তবে বেশ কিছু সংশোধনী আনা প্রয়োজন।” উদ্যোক্তাদের অন্যতম শিবু সরেন বলেন, “আদিবাসী সংস্কৃতির সঙ্গে সালিশি সভা ওতপ্রোত ভাবে যুক্ত। তবে সাম্প্রতিক কিছু ঘটনায় বেশ কিছু প্রশ্ন উঠে এসেছে। তাই মোড়ল বা সর্দার চয়নের ক্ষেত্রে উপযুক্ত শিক্ষাকে আরও গুরুত্ব দিতে হবে। আদিবাসী সমাজে জন সচেতনতা বাড়াতে।” উদ্যোক্তারা জানান, আগামী মার্চ মাসে আশপাশের ২০০টি গ্রামের আদিবাসী মানুষজন, আদিবাসী সমাজের প্রতিনিধি এবং সর্দার বা মোড়লদের নিয়ে বিশেষ আলোচনার কর্মসূচী নেওয়া হয়েছে।
সাঁইথিয়ায় সভা। আদিবাসী অধিকার হুলসাই মঞ্চের উদ্যোগে রবিবার সাঁইথিয়া থানার ধোবাজোল গ্রামে একটি সভা হয়েছে। সেখানে রাজ্যের বিভিন্ন জেলা-সহ বিহার এবং ঝাড়খণ্ডের প্রায় হাজার পাঁচেক আদিবাসী সমাজের লোকজন যোগ দেন। সভায় হাজির ছিলেন লাভপুর-কাণ্ডে ধৃত বোধন টুডুর স্ত্রী মল্লিকা টুডু। এ দিন তিনি দাবি করেন, “আমার স্বামীকে মিথ্যা অভিযোগে ফাঁসানো হয়েছে। ওই তরুণীর অভিযোগের সত্যতা নেই। সেটা কেউ দেখল না।” |