বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষের ঘটনা সত্ত্বেও মোটামুটি শান্তিতেই ভোটদান পর্ব শেষ হল তাইল্যান্ডে। তাতেও দুশ্চিন্তা কমছে না। কারণ, রবিবার বিরোধীদের বাধায় দেশের ৩৭৫টি নির্বাচন কেন্দ্রের ৪৫টিতে ভোটদান পর্ব স্থগিত রাখতে হয়। বিশেষজ্ঞদের মত, এর জেরে আইনি জটিলতায় পড়তে পারেন ইংলাক শিনাবাত্রা। ভোটে জিতলেও আপাতত স্রেফ দেশের তদারকি প্রধান হয়েই থাকতে হতে পারে তাঁকে।
পরিদর্শকরা জানাচ্ছেন, আপাত ভাবে শান্তিপূর্ণ হলেও ১২৭টি ভোট কেন্দ্রে আজ ভোট চলাকালীন গণ্ডগোল হয়েছে। তার মধ্যে ৪৫টিতে ভোটদান স্থগিত রাখা হয়। গত রবিবার আগাম ভোটদানের যে নির্ঘণ্ট তৈরি করেছিল তাইল্যান্ডের নির্বাচন কমিশন, তা-ও বিরোধীদের প্রতিবাদে বাতিল হয়ে যায়। ২৩ ফেব্রুয়ারি ফের ভোটের দিন নির্ধারণ করেছে নির্বাচন কমিশন। কিন্তু পরিস্থিতি যা, তাতে দক্ষিণ তাইল্যান্ডের কয়েকটি নির্বাচনী কেন্দ্রে আগামী কয়েক সপ্তাহ ভোট প্রায় অসম্ভব। নির্বাচন কমিশনের হুঁশিয়ারি, এমন হলে ভোটের ফলাফল কিছুতেই ঘোষণা করা যাবে না। বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা অন্য জায়গায়। তাঁদের মত, সব জায়গায় ভোট না হলে পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠ এমপি পেশ করতে পারবেন না শিনাবাত্রা। তাহলে ফের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পথে পদ্ধতিগত বাধা তৈরি হবে। ভোটে জিতলেও স্রেফ তদারকি প্রধান হয়েই থাকতে হবে তাঁকে।
দেশের অচলাবস্থা কাটার তাই সম্ভাবনা দেখচ্ছেন না বিশেষজ্ঞরা। তাতে দৃশ্যত কোনও হেলদোল নেই ইংলাকের। আজ সকালেই সংবাদ মাধ্যমের সামনে ভোট দিতে যান। কমিশন জানিয়েছে, প্রায় ৯০% পোলিং বুথে স্বাভাবিক ভাবেই ভোট হয়েছে। বিশেষত উত্তর তাইল্যান্ড যা কি না ফিউ তাই পার্টির ঘাঁটি বলে পরিচিত, সেখানে মোটামুটি নির্বিঘ্নেই ভোট হয়। দুপুর তিনটের সময় ভোটপর্ব মেটে। শুরু হয় গণনা। ফলাফলও নির্বাচন কমিশনের কাছে পাঠানো হয়েছে। বিরোধী নেতা সুতেপ তাউগসুবান নিজের অবস্থানে অনড়। উল্টে ভোটের পিছনে করদাতাদের অর্থ নষ্ট করার অভিযোগ এনে ইংলাকের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকি দেন সুতেপ। তাঁরা দাবি করছিলেন, ‘পিপলস কাউন্সিলের’ হাতে ক্ষমতা তুলে দিতে হবে।
বিশেষজ্ঞদের ধারণা, এই দাবি জেনেবুঝেই তুলেছিলেন সুতেপ। কারণ, ভোট হলে যে ইংলাক ও তাঁর দলের জেতার সম্ভাবনাই ষোলো আনা, তা জানতেন তিনি। ভোট বানচাল করে বা প্রার্থীকে মনোনয়ন জমা না দিতে দিয়ে কৌশলগত ভাবে ইংলাককে হারানোর কথা ভেবেছেন বলে ধারণা বিশেষজ্ঞদের। |