এক মহিলাকে ধর্ষণের চেষ্টা ও মারধর করার অভিযোগ উঠল দুই যুবকের বিরুদ্ধে। শনিবার রাতে মঙ্গলকোট থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ওই মহিলা। অভিযুক্তদের নাম মিঠুন মাঝি ও উত্পল মাঝি। বাড়ি মঙ্গলকোটের খেঁড়ুয়া গ্রামে। দু’জনেই পলাতক। রবিবার কাটোয়া আদালতে ওই বধূর গোপন জবানবন্দি নেওয়া হয়। পুলিশ জানায়, ওই গ্রামে এক আত্মীয়ের বাড়িতে এসেছিলেন কেতুগ্রামের গণফুলের ওই বধূ। শুক্রবার সন্ধ্যায় শ্বশুরবাড়ি যাওয়ার পথে ওই দুই যুবক তাঁকে ধর্ষণের চেষ্টা করে বলে অভিযোগ। তিনি চিত্কার করায় গ্রামেরই দু’জন ছুটে আসেন। কিন্তু ওই দুই যুবক তাঁদের মারধর করায় পালিয়ে যান তাঁরা। পরে অভিযুক্তেরা ফের ওই মহিলার উপর ঝাঁপিয়ে বলে অভিযোগ। ইতিমধ্যে আরও লোকজন ছুটে এলে অভিযুক্তরা পালিয়ে যায়। পরে গ্রামের লোকেরা অভিযুক্তদের বাড়িতে চড়াও হয়। পুলিশও গ্রামে এসে তল্লাশি চালায়। শনিবার সকালে ওই মহিলা শ্বশুরবাড়ি যান। সেখান থেকে স্বামীর সঙ্গে এসে শনিবার রাতে মঙ্গলকোট থানায় অভিযোগ জানান তিনি। সিপিএমের বর্ধমান জেলা কমিটির সদস্য অঞ্জন চট্টোপাধ্যায়ের অভিযোগ, অভিযুক্তেরা তৃণমূলের ছত্রছায়ায় রয়েছে। তাদের ধরতেও গড়িমসি করছে পুলিশ। তবে তৃণমূলের স্থানীয় নেতা দেবকুমার ধারা বলেন, “অভিযুক্তরা তৃণমূল সমর্থক নন। পুলিশ আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিক।”
|
রবিবার সকাল থেকে বিদ্যুত্ বিভ্রাটে পড়ল কাটোয়া শহর। দফায় দফায় লোডশেডিংয়ে নাজেহাল হলেন বাসিন্দারা। রাজ্য বিদ্যুত্ বন্টন নিগমের কাটোয়া শাখা সূত্রে জানা যায়, শনিবার গভীর রাতে শহরের কেশিয়া মাঠপাড়ার কাছে কাটোয়া ৩ নম্বর লাইনের মাটির তলা থেকে কেবল চুরির চেষ্টা করে কয়েকজন দুষ্কৃতী। ফলে কেবল কেটে এই বিভ্রান্তি ঘটে বলে বিদ্যুত্ কর্তাদের ধারণা। বিদ্যুত্ দফতরের সহকারী বাস্তুকার গোলক মণ্ডল বলেন, “অন্য লাইনের সঙ্গে সংযোগ করে কাটোয়া ৩ -এ বিদ্যুত্ দেওয়া হচ্ছে। তবে এখনও খুঁজে পাইনি, ঠিক কোন জায়গার কেবল কেটেছে। সোমবার দফতর খোলার পরে অভিযোগ করা হবে। |