ডিএসপি টাউনশিপে আবর্জনা সাফাই অনিয়মিত। এই সমস্যা মেটাতে নজর দিলে ভাল হয়।
রণজিত্ মুখোপাধ্যায়, দয়ানন্দ রোড, এ-জোন
জমা আবর্জনার পরিমাণ একটি নির্দিষ্ট জায়গায় না যাওয়া পর্যন্ত গাড়ি পাঠানো ব্যয়সাপেক্ষ। তবে আসল সমস্যা অন্য জায়গায়। প্লাস্টিকের প্যাকেট ব্যবহার যতটা সম্ভব কম করতে হবে। সচেতনতা বাড়ানোর কাজ চলছে। এ ছাড়া রাস্তার কুকুরের দল খাবারের লোভে আবর্জনা টানাটানি করায় তা আশপাশে ছড়িয়ে পড়ে। ডিএসপি-র সঙ্গে মিলে কুকুরের নির্বীজকরণের চেষ্টা শুরু হয়েছে।
এমএএমসি টাউনশিপের বহু জায়গায় রাস্তার আলো ঠিকঠাক জ্বলে না।
সৌরভ রায়, এমএএমসি, সি-ডি ব্লক
এমএএমসি এলাকায় বিদ্যুত্ সরবরাহ করে ডিপিএল। পুরসভার সঙ্গে ওই টাউনশিপের কোনও প্রত্যক্ষ যোগ নেই। তবু সেখানকার রাস্তার আলো মাঝে মাঝেই বদলে দেয় পুরসভা। যতটা সম্ভব সমস্যা মেটানোর চেষ্টা হয়।
|
ফুটপাথ নেই, গাড়ির ফাঁক দিয়েই হাঁটাচলা সিটি সেন্টারে। |
জলকর দিই। অথচ শহরের বিভিন্ন এলাকায় ট্যাপ বেহাল, কোথাও আবার নেই। অনেক জল নষ্ট হয়।
সুব্রত সাঁই, খয়রাশোল।
পুরসভা প্রায় দু’লক্ষ টাকা খরচ করে নতুন ট্যাপ লাগিয়েছে। বছরে জল সরবরাহ করতে পুরসভার ব্যয় হয় প্রায় সাড়ে ১০ কোটি টাকা। সেখানে কর থেকে আসে মাত্র সাড়ে চার থেকে পাঁচ কোটি টাকা। বাকিটা ভর্তুকি দিতে হয়। জল দিন দিন
দুর্মুল্য হয়ে যাচ্ছে। প্রতিটি কাউন্সিলর মিটিংয়ে আমি প্রসঙ্গটি তুলি। আসলে আমরা সরকারি জিনিস নিজের করে নিতে জানি না।
ক্ষুদিরাম সরণি দিয়ে আসানসোল-কলকাতা বাস চলে। মিনিবাস, বেনাচিতির বড় বাসও চলে। দুর্ঘটনার আশঙ্কা আছে। রাস্তাটি ওয়ান ওয়ে করা জরুরি।
সঙ্গীতা দত্ত, সেল কো-অপারেটিভ
এই ধরনের বেশ কিছু পরিকল্পনা পাঠানো হয়েছে সংশ্লিষ্ট দফতরে। অনুমোদন এলে কাজ শুরু হবে।
সিটি সেন্টার থেকে মৌলানা আজাদ মোড় পর্যন্ত রাস্তায় ফুটপাথ দরকার।
সমিতা চট্টোপাধ্যায়, উদয়শঙ্কর সরণি, সিটি সেন্টার
আমরা দায়িত্ব নেওয়ার তিন মাসের মধ্যেই ‘আরবান প্ল্যানার’ পদে যিনি ছিলেন তিনি অন্যত্র চলে যান। তার পর থেকে পদটি ফাঁকা ছিল। সম্প্রতি এক জন পরামর্শদাতা নিয়োগ করেছি। তিনি শহরের উন্নয়নে বেশ কিছু পরিকল্পনা জমা দিয়েছেন। তা পাঠানো হয়েছে সংশ্লিষ্ট দফতরে। তবে এডিডিএ ইতিমধ্যে শহরের বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে পথচারী ও সাইকেল যাওয়ার উপযোগী ফুটপাথ গড়ার পরিকল্পনা করেছে। সিটি সেন্টার থেকে কবিগুরু, ভগত্ সিংহ হয়ে আড়রা, এফসিআই হয়ে বাঁকুড়া রোড আরওবি, বিসি রায় অ্যাভিনিউ, ডিভিসি মোড়, এমএএমসি বাইপাস হয়ে সিটি সেন্টার পর্যন্ত।
|
বেনাচিতিতে নর্দমায় জমে প্লাস্টিকের প্যাকেট। |
আদালত চত্বরে গেলে শহরের আধুনিকতা টের পাওয়া যায় না। বারান্দায় বসে কাজ হয়। শৌচাগার নেই। মহিলাদের খুব অসুবিধা হয়।
সুব্রত মুখোপাধ্যায়, পুরষা, মায়াবাজার
সুলভ শৌচাগার গড়ার জন্য এডিডিএ-র কাছে জায়গা চেয়েছি। আদালতের এমন পরিস্থিতি নিয়ে আইনমন্ত্রীর সঙ্গেও কথা বলেছি। দেখা যাক, ভবিষ্যতে কী হয়।
শহরের পুরনো বাজার দুর্গাপুর বাজারে পার্কিংয়ের ব্যবস্থা নেই।
অশোক কর্মকার, রাতুরিয়া
পার্কিং গড়ার উদ্যোগ হয়েছিল। কিন্তু সে জন্য প্রয়োজনীয় জমি মিলছে না। বাজারের মধ্যে জায়গা নেই। অন্য কোনও পরিকল্পনা নেওয়া যায় কি না দেখতে হবে।
জাতীয় সড়কে বহু মোড়ে সিগন্যাল বেহাল। পারাপার করতে হয় ঝুঁকি নিয়ে। নানা জায়গায় উড়ালপুল একান্ত জরুরি।
কৌশিক দত্ত, সেপকো টাউনশিপ
বিষয়টি একাধিক বার জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষকে বলা হয়েছে। কিন্তু ছয় লেন করার প্রকল্প হাতে নেওয়ায় এখন আর কোনও অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় করবে না বলে জানিয়েছে তারা। ছয় লেন হওয়ার পরে আর কোথাও এমন বিপজ্জনক ক্রসিং থাকবে না। তত দিন অপেক্ষা করা ছাড়া আমাদের করার কিছু নেই। |