মাঘের শেষ দুপুরে জমজমাট ভিড়ে ষষ্ঠ কাঞ্চন উত্সবের উদ্বোধন হয়ে গেল বর্ধমানে। রবিবার ওই অনুষ্ঠানের উদ্বোধনে এসেছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক মুকুল রায়। ছিলেন রাজ্যের তিন মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ, মলয় ঘটক ও রবিরঞ্জন চট্টোপাধ্যায়। এছাড়া জেলা পুলিশ সুপার সৈয়দ মহম্মদ হোসেন মির্জা, জেলাশাসক সৌমিত্র মোহন, বর্ধমানের পুরপ্রধান স্বরূপ দত্ত প্রমুখেরাও হাজির ছিলেন। |
মুকুলবাবু বলেন, “এই উত্সবের তৃতীয় বর্ষের মাথায় একবার এসেছিলাম। তখনকার অনুপাতে উত্সবের আকার, আকৃতি, মেজাজ সবই বদলে গিয়েছে। তখন ভিড় হলেও এতটা হত না। এখন প্রচুর মানুষ যোগ দিচ্ছেন।” সঙ্গে বিরোধীদের কটাক্ষ করে তিনি জুড়ে দেন, “অনেকের অবশ্য রাগ হচ্ছে। তাঁরা বলছেন রাজ্যে শুধু উত্সবই হচ্ছে। কিন্তু মানুষ চাইছেন বলেই তো রাজ্য জুড়ে একের পর এক উত্সব হচ্ছে।” কাঞ্চন উত্সবের পরেই পানাগড়ে মাটি উত্সব হবে বলেও জানান তিনি।
এ দিন কন্যাশ্রী প্রকল্পে একশো জন স্কুল ছাত্রীর হাতে সাউকেল তুলে দেওয়া হয়। শহরের একটি স্কুলকে কম্পিউটারও দেওয়া হয়।
কাঞ্চন উত্সবে প্রতিদিনই নানা ধরণের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন থাকবে। কলকাতা, মুম্বই থেকেও অনেক শিল্পীদের আসার কথা রয়েছে বলে উদ্যোক্তারা জানান। উত্সব কমিটির সভাপতি তথা কাউন্সিলর খোকন দাস জানান, “এই উত্সবে রাজ্য সরকারের নানা উন্নয়ন প্রকল্প মানুষের কাছে তুলে ধরা হবে।”
উত্সব প্রাঙ্গণে নানা ধরণের খাবারের দোকান, শিশুদের জন্য খেলনা বা রোজকার সংসারের প্রয়োজনের জিনিসেরও নানা দোকান বসেছে। বসেছে নাগরদোলা, টয়ট্রেন-সহ বিভিন্ন খেলাও। উদোক্তাদের আশা, অনুষ্ঠানের টানে হোক বা হরেক রকম দোকানের টানে উত্সবের মাঠে ভিড় এ বার জমবেই। |