পুরসভার তরফে পাঁচটি কমিউনিটি শৌচাগার তৈরি করে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তার একটিও ব্যবহারের উপযোগী নয়, এমনটাই অভিযোগ এলাকাবাসীর। দীর্ঘদিন শৌচাগারগুলির সংস্কার নেই। ফলে দুর্গাপুর পুরসভার ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের নবীনপল্লি এলাকার বাসিন্দাদের ২ নম্বর জাতীয় সড়ক পেরিয়ে একটি বন্ধ কারখানার খোলা মাঠে প্রাতঃকৃত্য সারতে যেতে হচ্ছে। ঘটছে দুর্ঘটনা। এলাকাবাসীর দাবি, শৌচাগারগুলি সংস্কার করা হোক।
নবীনপল্লি এলাকায় প্রায় শ’পাঁচেক পরিবারের বাস। বেশির ভাগ মানুষই কারখানার ঠিকা শ্রমিক। তাঁদের অভিযোগ, পুরসভার তরফে পাঁচটি শৌচাগার তৈরি করে দেওয়া হলেও, তা ঠিক মতো রক্ষণাবেক্ষণ করা হয়নি। কোনওটি আগাছায় ভরে গিয়েছে। আবার কোনও শৌচাগারের দরজা নষ্ট হয়ে গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে ২ নম্বর জাতীয় সড়ক পেরিয়ে একটি বন্ধ কারখানার মাঠে প্রাতঃকৃত্য সারতে যেতে হচ্ছে এলাকাবাসীকে। বছর ষাটের রায়না বেগমের কথায়, “এলাকার শৌচাগারগুলি ঠিক নেই বলে এই রাস্তা পেরিয়ে ছোটদেরও প্রাতঃকৃত্য সারতে যেতে হয়। ফলে প্রাণের ভয় থাকে তাদেরও।’’ |
নেই দেখভাল।—নিজস্ব চিত্র। |
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, যে সমস্ত পরিবারের অর্থনৈতিক অবস্থা ভাল, তাঁরা বাড়িতে শৌচাগার বানিয়ে নিয়েছেন। কিন্তু সবার সেই ক্ষমতা নেই। এই অবস্থায় ওই পাঁচটি শৌচাগারের সংস্কারের ব্যাপারে উদ্যোগী হোক পুরসভা, এমনটাই দাবি তাঁদের। এলাকার বাসিন্দা গোপাল বাউড়ি, কালু বাউড়িরা দাবি করেছেন, বন্ধ কারখানার যে মাঠ তাঁরা ব্যবহার করতেন, সেটি কাঁটা তার দিয়ে ঘিরে ফেলা হয়েছে এডিডিএ-র তরফে। ফলে খুবই সমস্যা হচ্ছে তাঁদের।
পুরসভার ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের সিপিএমের কাউন্সিলর আরতী চক্রবর্তীর বক্তব্য, “শৌচাগারগুলির বেহাল অবস্থার কথা আমি জানি। পুরসভায় একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে যাতে দ্রুত সমস্যা সমাধান করা যায়। পুরসভা থেকে মৌখিক ভাবে বলাও হয়েছে যে দ্রুত সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করা হবে।” শুরু কাঞ্চন উত্সব। মাঘের শেষ দুপুরে জমজমাট ভিড়ে ষষ্ঠ কাঞ্চন উত্সবের উদ্বোধন হয়ে গেল বর্ধমানে।
রবিবার ওই অনুষ্ঠানের উদ্বোধনে এসেছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক মুকুল রায়। ছিলেন রাজ্যের তিন মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ, মলয় ঘটক ও রবিরঞ্জন চট্টোপাধ্যায়। এছাড়া জেলা পুলিশ সুপার সৈয়দ মহম্মদ হোসেন মির্জা, জেলাশাসক সৌমিত্র মোহন, বর্ধমানের পুরপ্রধান স্বরূপ দত্ত প্রমুখেরাও হাজির ছিলেন। মুকুলবাবু বলেন, “এই উত্সবের তৃতীয় বর্ষের মাথায় একবার এসেছিলাম। তখনকার অনুপাতে উত্সবের আকার, আকৃতি, মেজাজ সবই বদলে গিয়েছে।” |