সাক্ষাৎ সরস্বতী
দেবশঙ্কর হালদার
নাট্য-অভিনেতা
দেবশঙ্কর হালদার
সরস্বতীকে চাক্ষুষ করতে ইচ্ছে হয় মাঝেমধ্যে। মনে হয় যদি কখনও দেখার সুযোগ হত, তবে হয়তো তাকে দেখাত মালালা ইউসুফজাইয়ের মতো। তালিবানি শাসনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো সোয়াত উপত্যকার অসমসাহসী কিশোরীকে দেখতে একদম যেন সরস্বতীর মতোই।
আমার দেখা আরও এক ‘সরস্বতী’ আমাদের বাড়িতেই থাকে। ঘটনাচক্রে ওর নামও সরস্বতী। আমার মা’র দেখভাল করা ছাড়াও আমাদের পুরো পরিবারের যত্নআত্তিও সে-ই করে। শিল্পের প্রকাশ বা চর্চার দেবী হিসেবেই তো সরস্বতীর আরাধনা করি আমরা! সেই হিসেবে আমাদের এই সরস্বতী হয়তো প্রথাগত শিক্ষায় শিক্ষিত নয়। কিন্তু সব কিছু সযত্ন গুছিয়ে রাখা, কাছের মানুষদের ভাল থাকতে সাহায্য করা জীবনবোধের সেই প্রকৃত শিক্ষায় সে শিক্ষিত। যে মেঝেতে পায়চারি করে আমি নাটকের সংলাপ মুখস্থ করি, সেই মেঝেকে মুছে ঝকঝকে তকতকে করে রাখা বা আমার চিঠিগুলো আমার কাছে পৌঁছে দেওয়া প্রত্যেকটা খুঁটিনাটির দিকেই তার নজর। অন্তরালে থেকেও ওর নীরব অবদান কোথায় যেন আমার মঞ্চে অভিনয়ের শেষে দর্শকদের হাততালি পাওয়া, বা ক্যামেরার সামনে আমার গান গাওয়া, চিৎকার, শরীরী ভাষার সঙ্গে জুড়ে থেকে যায়।
মমতাশঙ্কর
অভিনেত্রী
আমার মা, অমলাশঙ্কর, তিনিই আমার দেখা সরস্বতী।
নাচ, গান থেকে শুরু করে পড়াশুনো, লেখার হাত, ছবি আঁকা সবেতেই মা তুখড়। মা’র জীবনদর্শনটাই এত সুন্দর যে ঠিক ভাষায় প্রকাশ করতে পারব না। ওই দর্শনেই
মমতাশঙ্কর
মা আমাকে আর দাদাকে মানুষ করেছেন। ছোট থেকে দেখতাম কঠিন সব মুহূর্তে সবাই যখন কী করবে ভেবে দিশেহারা, মা ঠিক বুদ্ধি করে শান্ত মাথায় সেই সব সমস্যা উতরে যাওয়ার রাস্তা বের করে ফেলেছেন। এই প্রজ্ঞা, এই প্রত্যুৎপন্নমতিত্ব যেন মায়ের সহজাত।
বাবা তখন ‘কল্পনা’ সিনেমা করছেন। মাকে বলেছিলেন, “আমার ভীষণ ইচ্ছে, একটা গান তুই লিখবি।” মা-কে বাবা তুই করেই বলতেন। মা যে শুধু গানটা লিখেছিলেন তাই নয়, নিজের গলায় গেয়েওছিলেন।
আরও একটা কথা না বললেই নয়। অত্যন্ত সাধারণ, ফেলাছড়া সব জিনিস দিয়ে কী সুন্দর একেকটা শিল্পকর্ম বানিয়ে ফেলতেন মা অবলীলায়! বাবার ট্রুপের যে-অনুষ্ঠানে মা প্রথম নাচ করলেন বাবা বলেছিলেন মাকে, “তোর পোশাক কিন্তু তোকেই বানাতে হবে।” সেই মতো বাবার ডান্স পার্টনার সিমকি-কে বাবা বলেছিলেন ওঁর স্টকে থাকা কিছু কাপড় মাকে দিতে। মা সেই কাপড় সেলাই করে, ডিজাইন করে বানিয়ে ফেলেছিলেন নাচের পোশাক।
একবার রাঁচি গিয়েছিলাম অনেক আত্মীয় মিলে। সেখানে কুড়িয়ে পাওয়া জংলি ফুল, লতা ইত্যাদি দিয়ে বলা হল দেখা যাক, কে কত সুন্দর ভাবে ফুল সাজাতে পারে। আর সেটা করতে কোনও আর্টিফিশিয়াল জিনিসও ব্যবহার করা যাবে না। মা একটা নৌকোর মতো জিনিস জোগাড় করে অপূর্ব সুন্দর করে ফুল সাজিয়ে ফেলেছিলেন জাপানিজ ইকাবানার কায়দায়। অথচ মা কিন্তু কোথাও শেখেনওনি সেই কায়দাটা। মা এ রকমই। যাই করেন, তা যেন একেবারে ভেতর থেকে আসে। সাক্ষাৎ সরস্বতী ছাড়া আর কী বলব!

নবনীতা দেবসেন
লেখিকা
আমার সরস্বতীর একপিঠ চুল নেই, কিন্তু একবুক দাড়ি আছে। উনিই আমাদের এই ‘ভালো-বাসা’ বাড়ির অধিষ্ঠাত্রী দেবী। তাঁর চোখে অপার করুণা, হাসিতে অসীম
নবনীতা দেবসেন
অভয়। তাঁর মুখখানি মাতৃস্নেহে উজ্জ্বল। হ্যাঁ, রবি ঠাকুরানিই আমাদের সংসারের সরস্বতী প্রতিমা।
তিনি আমাকে আশৈশব মায়ের মতো কোলে টেনে নিয়েছেন। সব দুঃখে, সব অপমানে তাঁর বুকে আশ্রয় পাই। আমার জীবনে যা কিছু প্রাপ্তি, সব তাঁরই কল্যাণে। এই ভাষা, এই প্রেম, সব শোকে অনুতাপে, গৌরবে-সান্ত্বনায় তাঁরই কাছে ছুটে ছুটে যাই। আমার প্রতি সকালের অক্ষরজ্ঞান, জীবনের সব সুর, সব তাল তাঁরই বেঁধে দেওয়া। তিনি কার বাবা জানি না, তবে আমার তিনি মা। তাঁর গর্ভে আমার এই জন্ম। তিনি আমার সরস্বতী প্রতিমা। তাঁর মতো সর্ববিদ্যাবিদুষী জননী আর কাকে পেয়েছি আমরা? না, পিতা নন। সেই দূরত্ব তাঁর সঙ্গে নেই আমার। বীজ বুনেই ছুটি নেননি তিনি। স্তন্যপান করিয়েছেন। তিনিই আমার সরস্বতী মা। আমার প্রার্থনা তাঁর ছন্দে, আমার কান্না তাঁর দেওয়া অশ্রুজলে।
আর যদি এতে সুখী না হয়ে নেমে আসতে চাও প্রাত্যহিক নারীত্বের ধাপে, চাও কোনও জীবিত নারীর ছবি, তা হলে এই নাও দুই নারী। কমলাসনে বসিয়ে দিয়ে হাতে বীণাটি ধরিয়ে দিলেই হল। অমনি প্যাঁক প্যাঁক করে রাজহংসটি আপনিই ভেসে চলে আসবে তাঁদের পায়ের কাছে। কী রূপে, কী গুণে, তাঁরা সরস্বতীই বটে। একজন বাস করেন গ্রন্থপীঠে, পুঁথিপ্রেমে মগ্ন। গভীর জীবন। আর এক জন বাস করেন কলামন্দিরে। ভাস্কর্যের মধ্যে লুকিয়ে রেখেছেন নিজের প্রাণভোমরা। আমি দেখতে পাই তাঁদের মুখে দেবীর লাবণ্য। দৃষ্টিতে দেবীর প্রসন্নতা।
একজন আমার সুকুমারীদি (ভট্টাচার্য), আর একজন আমার উমাদি (সিদ্ধান্ত)। প্রথম জনের নব্বই পার হয়েছে। দ্বিতীয়ের আশি পার। দু’জনেই চিরলাবণ্যময়ী কিশোরী রয়ে গিয়েছেন। মা সরস্বতীর বরপুত্রী কিনা!
আরও একজন আছেন। ছবিতে তাঁকে দেখলেই আশৈশব মা সরস্বতীকে মনে পড়ত। এখনও ভক্তিতে মন নত হয়ে পড়ে তাঁর মীরার ভজনে।
সেই ছবিটি তানপুরা হাতে এম. এস. শুভলক্ষ্মীর।
বিকাশ সিংহ
পদার্থবিজ্ঞানী
আমি তখন পিএইচডি করছি লন্ডনের কিংস কলেজে। বাংলাদেশ-পাকিস্তান যুদ্ধ নিয়ে পরিস্থিতি সরগরম। ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গাঁধী তখন বিশ্বের নানান জায়গায়
বিকাশ সিংহ
ঘুরে বেড়াচ্ছেন বাংলাদেশ যুদ্ধের পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করতে। আমাদের কলেজে এলেন একটা বিশেষ বিষয়ে বক্তৃতা দিতে। ওঁর ব্যক্তিত্বে, ওঁর ক্ষুরধার মেধা ও বুদ্ধিদীপ্ত চেহারায় প্রতিভার বিচ্ছুরণে আমি তখন মুগ্ধ, বিহ্বল।
আমার জীবনে দেখা ‘সরস্বতী’ অবশ্যই ইন্দিরা গাঁধী।
বক্তৃতার সময় আমার পাশে বসে ছিলেন এক ব্রিটিশ সাংসদ। ইন্দিরা তখন লেকচার দিচ্ছেন হিন্দিতে। ওই ভদ্রলোক তো কিছুই বুঝতে পারছেন না! আমি অনুবাদ করে ওঁকে বোঝাচ্ছিলাম। ইন্দিরা বেশ বিরক্ত হয়েছিলেন এবং বলেছিলেন ‘পিছে কর লেনা’। মানে অনুবাদটা তো লেকচার শেষেও করা যেত সেটা বোঝাতে। পরে ওঁর সঙ্গে দেখা করলাম। জিজ্ঞেস করছিলেন কী করি ইত্যাদি। পড়াশোনা, রাজনীতি, অনেক বিষয় নিয়েই স্বতঃস্ফূর্ত আলোচনা হল তার পর। এমন বিদুষী মহিলা জীবনে আর
দ্বিতীয় দেখিনি।
ব্রততী বন্দ্যোপাধ্যায়
আবৃত্তিকার
ব্রততী বন্দ্যোপাধ্যায়
‘সরস্বতী’ আর লতাজি আমার কাছে একই। আমার নামের মানে ‘ক্রিপার’ বা লতানো গাছ। লতাজির নামের মানেও তাই। এই নিয়ে আমার বেশ গর্ব। না, ধরাছোঁয়ার মধ্যে তাঁকে পাইনি কোনও দিন। কিন্তু দেবীরা তো এ রকমই হন, না কি! সাধারণ মানুষের ধরাছোঁয়ার বাইরে, স্বপ্নপ্রতিমার মতো। ওঁর গাওয়া ‘অ্যায় মেরে ওয়তন কে লোগো’...শুনে গায়ে কাঁটা দেয় আমার। ভারত-চিন যুদ্ধে সৈন্যদের ডেডিকেট করেই তৈরি হয়েছিল এই গান। আমার বাবা তখন ছিলেন ইন্ডিয়ান এয়ার ফোর্সে। তিনিও গিয়েছিলেন যুদ্ধে। এই গানটা আমার সেই স্মৃতির সঙ্গে জড়িয়ে।
এ ছাড়াও ‘আঁধি’র ‘তুম আ গয়ে হো’, ‘সিলসিলা’য় ‘লগ যা গলে’, ‘গাইড’য়ের ‘আজ ফির জিনে কা তমান্না হ্যায়’ আর কত বলব! কত অসংখ্য, অসাধারণ সব গান! উনি তো জীবন্ত কিংবদন্তি!
নিজের গান নিয়ে যে অপার্থিব পারদর্শিতার শিখরে তিনি পৌঁছেছেন, সেটা তো একমাত্র সরস্বতী হলেই পারা যায়!
সুতপা তালুকদার
নৃত্যশিল্পী
সুতপা তালুকদার
ধ্রুপদী নাচের একটা ওয়ার্কশপ করতে একবার চেন্নাই গিয়েছি। ওয়ার্কশপ করিয়েছিলেন বিখ্যাত ভরতনাট্যম শিল্পী ড. পদ্মা সুব্রমনিয়াম। উনিই আমার জীবনের সাক্ষাৎ ‘সরস্বতী’।
ওঁর সঙ্গে থাকার প্রত্যেকটা মুহূর্ত দারুণ উপভোগ করেছিলাম। ওয়ার্কশপের আগে সকাল ন’টায় আমাদের খাওয়াদাওয়া হত। সেই সময় স্নান সেরে, খোলা একঢাল চুলে, সাদা শাড়ি পরে পদ্মাদি আসতেন আমাদের খাওয়ার তদারকি করতে। আর তারই ভেতর নাচ নিয়ে হাল্কা আলোচনাও করতেন। আমাদের বকতেন না। কিন্তু এমন ব্যক্তিত্ব নিয়ে কথা বলতেন যে, তা না শোনে, কার সাধ্যি!
ভারতীয় নাট্যশাস্ত্রে মহিলাদের যে রূপ-সৌন্দর্য-স্বভাবের বর্ণনা রয়েছে, সরস্বতীর রূপ-সৌন্দর্য-স্বভাব তার থেকে একেবারেই আলাদা। অন্য রকম। সেই বিরল সৌন্দর্য দেখেছিলাম পদ্মাদির মধ্যে। ভরত নাট্যশাস্ত্র নিয়ে ওঁর প্রচুর গবেষণা। শুধু টানা মুখচোখের সৌন্দর্যই নয়, নাচ হোক কী গান, কী অভিনয়, বিদ্যা-বুদ্ধি সবেতেই তিনি আমার চোখে অদ্বিতীয়া। এত কিছুর পরেও কী শান্ত, কী স্থিতধী! ২০০৩-য়ে ‘পদ্মভূষণ’ ছাড়াও আরও নানা সম্মানে ভূষিতা হয়েছেন। দেবী বললেই যে মানসপ্রতিমা চোখের সামনে ভেসে ওঠে, উনি যেন সেই দেবীমূর্তিরই প্রতিফলন।
দেবী কর
শিক্ষাবিদ
দেবী কর
আমার দেখা সরস্বতী বললে বলতে হয় উমাদি (উমা আহ্মেদ)-য়ের কথা। লোরেটোতে পড়াতেন। এখন চুরাশি বছর বয়সেও লোরেটো কলেজে ট্রেনি টিচারদের পড়িয়ে চলেছেন। যেমন তাঁর সৌন্দর্য, তেমনই তাঁর ব্যক্তিত্ব। ওয়েস্ট বেঙ্গল হিউম্যান রাইটস কমিশনের প্রথম কমিটির সদস্য হয়েছিলেন তিনি। ২০০০ সালে অবসর নেওয়ার আগে পর্যন্ত সদস্য থেকে গিয়েছেন সেখানে। লোরেটোর টিচার সেন্টারের ফাউন্ডিং মেম্বার ছিলেন উমাদি। প্রেসিডেন্টও হয়েছিলেন। এখন প্রেসিডেন্ট পদে না থাকলেও সেন্টারের প্রত্যেকটা বিষয়ে তিনি প্রবল আগ্রহী।
অনেক স্কলারই আছেন যাঁরা নিজেদের গণ্ডির মধ্যেই চিরকাল সীমাবদ্ধ থেকে যান। উমাদি কিন্তু তা নন। নিজের মতামত জোর করে অন্যের ওপর চাপিয়ে দিতেও দেখিনি কখনও। আর অন্যায় হতে দেখলে জোর গলায় প্রতিবাদ করার সাহস সব সময়ই দেখিয়েছেন। ‘বস্তি ওয়েলফেয়ার সেন্টার’, ‘ক্যালকাটা ফাউন্ডেশন’, ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল ক্র্যাফ্টস কাউন্সিল’ ইত্যাদি নানান সংস্থায় উমাদি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকে গিয়েছেন। ‘ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব সেরিব্রাল পলসি’-র চেয়ারপার্সনও উমাদি। শুধু যে পদ নিয়েই খুশি থাকতেন, তা নয়। সেই পদের যথাযোগ্য মর্যাদাও দিতেন। অসংখ্য উন্নয়নমূলক কাজে এখনও নিজেকে যুক্ত রেখেছেন উমাদি। মেধা, সহনশীলতা, সহমর্মিতা সব কিছু মিলেই উমাদিকে সরস্বতী ছাড়া আর কী-ই বা বলা যায়!
রূপঙ্কর
গায়ক
রূপঙ্কর
আমার দেখা সরস্বতীর কথা বললে কিন্তু আমার দিদিমা উমা সেনগুপ্তর কথাই বলব। আমি যাকে বলে দিদিমার ফ্যান। দারুণ গান গাইত। ষাটের দশকে দিদিমার গানের একটা রেকর্ডও বেরিয়েছিল। গানের প্রতি আমার ভালবাসা, বিভিন্ন ধরনের গান শুধু শোনা নয়, শোনানোর অভিজ্ঞতাটাও কিন্তু দিদিমার থেকেই পেয়েছি আমি। আর দিদিমা ছিল খুব উদার মনোভাবাপন্ন।
কিছু মজার ঘটনা বলি তা হলে। আমি লেখাপড়ায় খুব ফাঁকি দিতাম। দিদিমা তখন গানের কলি ভাঁজতে ভাঁজতে বলত, ‘‘চল, এ বার একটু বাংলাটা পড়ে নিই। তার পর আবার গান করব।’’ বা হয়তো অঙ্ক করতে হবে। ফাঁকি মেরে ঘুরে বেড়াচ্ছি। এমন সময় দিদিমা বলল, “ওই যে ফিল্মের কী একটা ডায়লগ শিখেছিস, ওটা বল তো?” সেটা হয়ে গেলেই বলত, “চল, এ বার অঙ্কটা একটু করে নিই।” এমনই ছিল আমার দিদিমা উমা সেনগুপ্ত। সব কিছু শেয়ার করতাম দিদিমার সঙ্গে। ছোটখাটো চেহারার দিদিমা দেখতেও ছিল দারুণ সুন্দরী। ঠিক যেন সরস্বতী।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.