মূক ও বধির নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগে সত্তর বছরের এক বৃদ্ধকে ধরেছে পুলিশ। মালদহের বামনগোলা থানা এলাকার ঘটনা। শনিবার ধৃত বৃদ্ধ পুলিন রায়কে আদালতে তোলা হলে মুখ্য বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট তাকে ১৪ দিনের জন্য জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। সেই সঙ্গে প্রশিক্ষিত ব্যক্তির মাধ্যমে ওই মুক ও বধির নাবালিকার ‘জবানবন্দি’ নথিবদ্ধ করানোর জন্য পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এ দিন অভিযুক্তের হয়ে কোনও আইনজীবী সওয়াল করেননি বলে জানা গিয়েছে।
জেলা পুলিশ সুপার কল্যাণ মুখোপাধ্যায় বলেন, “নাবালিকার শারীরিক পরীক্ষা করা হয়েছে। অভিযুক্ত বৃদ্ধেরও শারীরিক সক্ষমতা পরীক্ষা করা হবে।”
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত মঙ্গলবার দুপুরে এক দিনমজুর দম্পতির প্রতিবন্ধী নাবালিকা মেয়ে বাবাকে ডাকতে বাড়ির পাশের একটি সর্ষে খেতে যায়। সে সময়ে অভিযুক্ত বৃদ্ধ পুলিন রায়ও ক্ষেতে কাজ করছিল। অভিযোগ, প্রতিবন্ধী নাবালিকাকে একা পেয়ে সর্ষের ক্ষেতের আড়ালে তাকে ধর্ষণ করে ওই বৃদ্ধ। নাবালিকার বাবার অভিযোগ, “মেয়ে কোনও কথা বলতে পারে না। বাড়িতে এসে মেয়ে আকার ইঙ্গিতে ধর্ষণের কথা বলছিল। প্রথমে বিশ্বাস করিনি। এরপরে গ্রামের কয়েকজন বাসিন্দা জানায়, তাঁরাও ওই বৃদ্ধকে আমার মেয়ের উপর অত্যাচার চালাতে দেখেছে। এরপর গত শুক্রবার রাতে থানায় অভিযোগ দায়ের করি।” অভিযোগ দায়ের হওয়ার পরে রাতেই পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে। |