স্টপের দাবিতে অবরোধে উত্তরবঙ্গ-অসম লাইনে প্রায় আড়াই ঘণ্টা ট্রেন চলাচল বিঘ্নিত হল শনিবার। এ দিন সকাল ১১টা থেকে নিউ ময়নাগুড়ি স্টেশনে রেল অবরোধ শুরু করে ময়নাগুড়ি ব্যবসায়ী সমিতি এবং স্থানীয় কয়েকটি ক্লাবের প্রতিনিধিরা। নিউ ময়নাগুড়ি স্টেশনে না থেমে চলে যাওয়া উত্তরবঙ্গ এক্সপ্রেস এবং ব্রহ্মপুত্র মেলের স্টপেজের দাবিতেই এ দিন সকাল থেকে দুপুর দু’টো পর্যন্ত অবরোধ করা হয়।
অবরোধকারীরা রেল লাইনে বসে পড়ায় ডিব্রুগড় থেকে দিল্লিগামী দুটি রাজধানী এক্সপ্রেস ধুপগুড়ি লাগোয়া আলতাগ্রাম ও বেতগারা স্টেশনে দাঁড়িয়ে যায়। নিউ দোমহনি স্টেশনে দাঁড় করিয়ে রাখা হয় ডিব্রুগরগামী ডাউন রাজধানী এক্সপ্রেসকে। শিয়ালদহগামী তিস্তা-তোর্সা এক্সপ্রেস ট্রেন ধূপগুড়ি স্টেশনে, বামনহাট-শিলিগুড়ি জংশন এবং কোচবিহার-মালদহ ডিএমইউ প্যাসেঞ্জার ট্রেনও অবরোধে আটকে পড়ে। |
অবরোধ শুরুর পরে উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের কর্তারা কয়েক দফায় আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আলোচনায় বসেন। উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের আলিপুরদুয়ারের এডিআরএম বনিসেস লাকড়া বলেন, “দাবি বিবেচনার জন্য রেল বোডের্র্ পাঠানো হবে।”
এ দিন সকাল থেকে ব্যবসায়ীরা ব্যবসা বন্ধ রেখে রেল অবরোধ শুরু করায়, স্থানীয় বাজার-হাট বন্ধই ছিল। অন্তত দেড়শোটি ক্লাবের সদস্যরা এ দিন ব্যবসায়ী সমিতির আহ্বানে রেল অবরোধে যোগ দেন। ক্রান্তি, জোরপাকড়ি, ভোটপট্টি, চ্যাংরাবান্ধা এলাকার ব্যবসায়ী সংগঠনের সদস্যরাও এ দিন অবরোধে যোগ দেন। উত্তর-পূর্ব রেলের আলিপুরদুয়ার বিভাগের কমার্শিয়াল ম্যানেজার বসন্ত দাস এ দিন স্টেশনে এসে দুটি ট্রেনের স্টপেজের বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের ব্যবস্থা করার আশ্বাস দেন। তিনি বলেন, “আশা করছি অল্প দিনের মধ্যেই বিষয়টির নিষ্পত্তি হবে।” ময়নাগুড়ি ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক বজরংলাল হীরাউত বলেন, “রেল কর্তারা সময় চেয়েছেন। তাই অপেক্ষা করা হবে। দু’মাসের মধ্যে ব্যবস্থা না নিলে ফের আন্দোলন হবে।” |