ডুয়ার্স উৎসবের উদ্বোধন করে ডুয়াসের্র ‘পর্যটন প্যাকেজ’ দ্রুত শুরু হতে চলেছে বলে জানালেন রাজ্যের পর্যটনমন্ত্রী কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরী। শনিবার বিকেলে আলিপুরদুয়ার প্যারেড গ্রাউন্ড মাঠে প্রদীপ জ্বালিয়ে একসঙ্গে উৎসবের সূচনা করেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী গৌতম দেব, পর্যটন মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরী ও পূর্তমন্ত্রী শঙ্কর চক্রবর্তী। সন্ধ্যায় উৎসবে যোগ দেন বনমন্ত্রী বিনয় বর্মনও। ডুয়ার্সের লোকসংস্কৃতির বৈচিত্র্য ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্যকে তুলে ধরার লক্ষ্যে এই উৎসবের আয়োজন বলে উদ্যোক্তারা। যদিও, উৎসবের নামে রাজনীতি করার অভিযোগ তুলে উদ্বোধন অনুষ্ঠানে যোগ দেননি বাম এবং কংগ্রেসের জনপ্রতিনিধিরা। উৎসবের উদ্বোধনের পরে কৃষ্ণেন্দুবাবু বলেন, “আগামী ১১ ফেব্রুয়ারি মুখ্যমন্ত্রী ফের ডুয়ার্সে আসবেন। সে সময়ে ডুয়ার্স প্যাকেজের ঘোষণা হবে।” উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী গৌতম দেব বলেন, “ডুয়ার্সের বিভিন্ন বনবস্তি এলাকায় উন্নয়নের কাজ শুরু হয়েছে। পর্যটনের বিকাশকেও গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। রাজ্য সরকারে তরেফ এলাকারা উন্নয়নের সঙ্গে মানব সম্পদের উন্নয়নের প্রয়োজন রয়েছে। আলিপুরদুয়ার ইন্ডোর স্টেডিয়ামে দ্রত জাতীয় স্তরের টেবিল টেনিস প্রযোগিতার আয়োজনের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।” |
উৎসব কমিটির সাধারণ সম্পাদক সৌরভ চক্রবর্তী জানান, আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত উৎসব চলবে। উৎসবের মূল মঞ্চটি ঠাকুর পঞ্চানন বর্মার নামে করা হয়েছে। শিশু ও লোক সংস্কৃতির মঞ্চও রয়েছে। এ দিন উৎসবের উদ্বোধনে আসেননি কংগ্রেসের বিধায়ক দেবপ্রসাদ রায়, আলিপুরদুয়ারের পুরসভার সিপিএমের চেয়ারম্যান অনিন্দ্য ভৌমিক, আলিপুরদুয়ারের আরএসপি সাংসদ মনোহর তীরকে। বিধায়ক দেবপ্রসাদবাবু অভিযোগ করে বলেন, “স্থানীয় বিধায়ক হিসবে আমাকে উৎসবে আমন্ত্রণ পাঠিয়ে দায় সেরেছেন কমিটি। কোনও সৌজন্য দেখাননি।” সাংসদ মনোহরবাবুর অভিযোগ, “রাজনৈতিক গণ্ডি থেকে উৎসব বের হতে পারেনি।” আলিপুরদুয়ার পুরসভার বাম কাউন্সিলরদের সবাইকে আমন্ত্রন করা হয়নি বলে অভিযোগ করেন পুরসভার চেয়ারম্যান অনিন্দ্য ভৌমিক।
যদিও, কমিটির সাধারণ সম্পাদক সৌরভবাবুর দাবি, “আমি চাইব বিধায়ক সাংসদ ও চেয়ারম্যান দশদিন ধরে চলা উৎসবে একদিন অন্তত আসবেন। সবাইকেই আমন্ত্রন জানিয়েছি।” এ দিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ফালাকাটার বিধায়ক অনিল অধিকারী, কোচবিহারের নাটাবাড়ির বিধায়ক তথা পূর্ত দফতরের পরিষদীয় সচিব রবীন্দ্রনাথ ঘোষ প্রমুখেরা। |