বাড়িতে চড়াও হয়ে দু’জন শ্রমিককে মারধরের অভিযোগ উঠল তৃণমূল নেতা ও তার দলবলের বিরুদ্ধে। শুক্রবার রাতে গোঘাট-১ ব্লকের নকুন্ডা গ্রামের ঘটনা। দিলীপ মণ্ডল এবং রবিন মণ্ডল নামে ওই দুই শ্রমিককে আরামবাগ মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁদের পরিবারের অভিযোগ, গ্রামে একটি পুকুর সংস্কারের টাকা আত্মসাৎ করতে চেয়েছিলেন ওই তৃণমূল নেতা ও তাঁর দলবল। তার প্রতিবাদ করাতেই দু’জনকে মারধর করা হয়েছে।
এই ঘটনায় প্রশান্ত মণ্ডল, ভোলানাথ মণ্ডল-সহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ জানায়, অভিযোগের তদন্ত শুরু হয়েছে।
পুলিশ ও পঞ্চায়েত সূত্রের খবর, নকুন্ডা গ্রামের পূর্বপাড়ায় ১০৮ নম্বর সংসদে একশো দিনের প্রকল্পে পুকুর সংস্কারের কাজ চলছে। শুক্রবার শতাধিক শ্রমিক মাটি কাটছিলেন। তদারকিতে ছিলেন ৪ জন সুপারভাইজার। রবিনবাবুর অভিযোগ, সুপারভাইজার থাকা সত্ত্বেও প্রশান্ত মণ্ডল-সহ কয়েকজন তৃণমূল নেতা শ্রমিকদের একটি সাদা কাগজে সই করতে চাপ দিচ্ছিল। যদিও নিয়মানুয়ায়ী হাজিরার প্রমাণ হিসাবে মাস্টার রোলে শ্রমিকদের সই করানো হয়। সাদা কাগজে সই করলে সেখানে ভুয়ো শ্রমিকের নাম ঢুকিয়ে টাকা লুঠ হবে ভেবে তিনি অন্যদের সতর্ক করলে কেউ সই করতে রাজি হননি। তারই জেরে রাতে বাড়িতে চড়াও হয়ে তাঁকে মারধর করা হয়। একই অভিযোগ করেছেন দিলীপ মণ্ডলও।
সাদা কাগজে সই করা নিয়ে কয়েক জন তৃণমূল নেতার সঙ্গে শ্রমিকদের বচসার কথা স্বীকার করেছেন ওই চার সুপারভাইজারও। তবে এ নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি তাঁরা।
গোঘাট ১ -এর বিডিও দেবেন্দ্রনাথ বিশ্বাস বলেন, “আমাকে কেউ ঘটনাটি জানাননি। তবে শ্রমিকদের কাজের জায়গা থেকে মাস্টার রোলে সই করিয়ে তা ব্লকে পাঠানো সুপাইভাইজারদেরই কাজ।” অভিযোগ অস্বীকার করে তৃণমূল নেতা প্রশান্ত মণ্ডল বলেন, “দল আমাকে ওই সংসদ এলাকার সমস্ত কাজের তদারকি করার দায়িত্ব দিয়েছে। নির্দিষ্ট পরিমাণ মাটি না কেটেই মাস্টার রোলে পুরো কাজের হিসাব দিয়ে সরকারি টাকার অপচয় রোখার জন্য পৃথকভাবে হিসাব রাখতেই শ্রমিকদের সাদা কাগজে সই করাচ্ছিলাম। কিন্তু উল্টে ওরাই আমাদের অপবাদ দেওয়ায় তা নিয়ে বচসা, ধাক্কাধাক্কি হয়।” তবে কাউকে মারধর করা হয়নি বলেই দাবি করেছেন প্রশান্তবাবু। |