রায়গঞ্জের ‘বৌদি’ এখন ‘দিদি’র শহরে অনশনে। সেই ‘বৌদি’র খাসতালুকে গিয়ে তাঁর সমালোচনায় সরব সিপিএম নেতা মহম্মদ সেলিম।
রায়গঞ্জে এইমসের ধাঁচে হাসপাতাল তৈরি এবং সারদা-কাণ্ড ও টেট-কেলেঙ্কারির সিবিআই তদন্তের দাবিতে কলকাতার মেয়ো রোডে গাঁধী মূর্তির পাদদেশে শুক্রবার দুপুর থেকে অনশনে বসেছেন রায়গঞ্জের ‘বৌদি’ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী দীপা দাশমুন্সি। তাঁর অনশনের দ্বিতীয় দিনে শনিবার কালিয়াগঞ্জের পায়োনিয়র মাঠে একটি সভায় দীপাদেবীর অনশনকে ‘আগামী ভোটে উতরানোর জন্য লোক ঠকানো আন্দোলন’ বলে কটাক্ষ করেন সিপিএম নেতা সেলিম। তৃণমূলও দীপার অনশন নিয়ে কটাক্ষ করেছে।
সূত্রের খবর, আসন্ন লোকসভা ভোটে রায়গঞ্জে বামফ্রন্টের প্রার্থী হতে পারেন সেলিম। এ দিন ওয়েস্ট বেঙ্গল সিএডিসি-র রাজ্য সম্মেলনকে সামনে রেখে সিপিএম কার্যত ভোটের প্রচারই করেছে। সম্মেলনের প্রকাশ্য সভায় সেলিম বলেন, “লোকসভা ভোটের আগে বাজার খারাপ বুঝে দীপাদেবী এইমসের ধাঁচে হাসপাতাল তৈরির দাবিতে অনশনে বসেছেন। আসলে চাঁদ দেখার পর যেমন ঈদের নমাজ পড়া শুরু হয়, তেমনই ভোট এলেই কংগ্রেসের এইমসের ধাঁচে হাসপাতাল তৈরির কথা মনে পড়ে।”
সেলিমের সমালোচনার কথা জেনে দীপার মন্তব্য, “উনি সম্ভবত রায়গঞ্জে ভোটে দাঁড়াচ্ছেন। তাই আমাদের বিরুদ্ধে প্রচার করছেন। এইমসের ধাঁচে হাসপাতালের দাবিতে আমাদের আন্দোলন অনেক দিন ধরেই চলছে। বামফ্রন্ট সরকার টালবাহানা না করলে আগেই হাসপাতালের কাজ শুরু হত।” তাঁর অনশন আন্দোলনে পূর্ণ সমর্থন রয়েছে প্রদেশ কংগ্রেসের।
সেলিমের সমালোচনাকে গুরুত্ব না দিয়ে জেলা কংগ্রেস সভাপতি মোহিত সেনগুপ্ত বলেন, “সেলিমবাবুরা ভোটপাখি হয়ে উড়ে এসে যাই বলুন না কেন, রায়গঞ্জের বাসিন্দারা সব জানেন। তিন দশক ধরে এ রাজ্যে ক্ষমতায় থাকলেও সিপিএমের মাথায় এইমসের ধাঁচে হাসপাতাল তৈরির ভাবনা আসেনি। কংগ্রেসই মানুষকে ওই হাসপাতাল তৈরির কথা বলেছে।”
জেলা তৃণমূল সভাপতি অমল আচার্য বলেন, “সিপিএম এবং কংগ্রেস জনসমর্থন হারিয়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে অপপ্রচার শুরু করেছে।” |