|
|
|
|
চলে গেলেন তিকিতাকার স্রষ্টা
নিজস্ব প্রতিবেদন |
ফ্রি কিক মারায় ছিলেন ওস্তাদ। ফুটবল মাঠে যে জন্য তাঁকে ডাকা হত ‘জাপাতোনেস’ বা ‘বিগ ফুট’। তিন বার লা লিগা জিতেছেন, রিয়াল মাদ্রিদ, আটলেটিকো ছাড়া খেলেছেন জাতীয় দলেও। কিন্তু তাঁর আরও বড় পরিচয় ৪৪ বছর পর স্পেনকে কোনও আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে জয় এনে দেওয়ায়। ২০০৮ ইউরো জয়ী কোচ হিসেবে। তিনি— লুইস আরাগোনেস। শনিবার ৭৫ বছর বয়সে যাঁর মারা যাওয়ার খবরে বিশ্বফুটবলে শোকের ছায়া।
২০০৮-০৯ ফেনেরবাখে শেষ কোচিং করেন। তার চার বছর পর গত ডিসেম্বরে অবসরের কথা ঘোষণা করেছিলেন। বার্ধক্যজনিত সমস্যাও ছিল। স্প্যানিশ মিডিয়া জানাচ্ছে, শনিবার সকালে মাদ্রিদের একটি হাসপাতালে গুরুতর অসুস্থ আরাগোনেসকে আনার কয়েক ঘণ্টা পরই মারা যান তিনি। ২০০৬ বিশ্বকাপে দ্বিতীয় রাউন্ডে ফ্রান্সের কাছে হারার পর আরাগোনেস স্পেনের জাতীয় দলের জন্য নতুন স্টাইল নিয়ে আসেন। ‘তিকিতাকা’। জোহান ক্রুয়েফ বার্সেলোনার কোচ থাকাকালীন যে সিস্টেমের জন্ম হলেও স্পেনের জাতীয় দলের সঙ্গে তিকিতাকা-র পরিচয়টা ঘটে আরাগোনেসের হাত ধরেই। তাই তিকিতাকার অন্যতম স্রষ্টা আরাগোনেসও। দু’বছরের মধ্যেই যা রপ্ত করে বিশ্ব ফুটবলে অপ্রতিরোধ্য হয়ে ওঠে স্পেন। আরাগোনেসের স্টাইলের উপর ভর করেই ২০০৮ ইউরোর পর সাফল্য পান নতুন কোচ ভিসেন্তে দেল বস্কি। তাঁর কোচিংয়ে ২০১০ বিশ্বকাপ আর ২০১২ ইউরো খেতাবও মুঠোয় চলে আসে স্পেনের।
সাফল্যের পাশাপাশি অবশ্য বিতর্কও রয়েছে। ২০০৪ স্পেনের জাতীয় দলের দায়িত্ব নেওয়ার পর বিতর্কেও জড়ান ফ্রান্সের প্রাক্তন ফুটবলার থিয়েরি অঁরি-র বিরুদ্ধে বর্ণবিদ্বেষী মন্তব্য করার অভিযোগে। যার জন্য তাঁর জরিমানাও হয়। পরে যদিও সব অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছিলেন আরাগোনেস। |
অবিস্মরণীয় সেই দৃশ্য
ইউরোজয়ীরা শূন্যে তুলে দিচ্ছেন তাঁদের কোচ আরাগোনেসকে।—ফাইল চিত্র। |
বিতর্ক যতই থাক আরাগোনেস যে তাঁর ফুটবলারদের কাছে কতটা জনপ্রিয় তাঁর ‘ছাত্র’দের কথাতেই পরিষ্কার। স্পেনের ফুটবল ফেডারেশন, আটলেটিকো মাদ্রিদ বিবৃতিতে শোক জানানোর পাশাপাশি স্পেনের তারকা ফের্নান্দো তোরেস, সের্জিও র্যামোস, আন্দ্রে ইনিয়েস্তারাও শ্রদ্ধা জানিয়েছেন আরাগোনেসকে। তোরেস বলেন, “ধন্যবাদ মিস্টার। আমার জন্য যা করেছেন, কোনও ধন্যবাদই যথেষ্ট নয়।” রিয়াল মাদ্রিদের ডিফেন্ডার র্যামোস টুইট করেন, “আজ ফুটবলার হিসেবে আমি যেখানে দাঁড়িয়ে, তার পিছনে লুইসের বিরাট অবদান রয়েছে। লুইস আমাদের গৌরবের রাস্তায় হাঁটতে শিখিয়েছেন। ওঁর পরিবারের জন্য সমবেদনা রইল।”
|
লুইস আরাগোনেস |
ফুটবল কেরিয়ার: (১৯৫৭-৭৪) গেটাফে, রিয়াল মাদ্রিদ,
ওভিয়েদো, বেতিস, আটলেটিকো মাদ্রিদ।
কোচিং কেরিয়ার: (১৯৭৪-২০০৯) আটলোটিকো মাদ্রিদ,
বার্সেলোনা, বেতিস, এসপ্যানিওল, সেভিয়া, ভ্যালেন্সিয়া, মায়োরকা।
২০০৪-০৮: স্পেন।
কোচ হিসেবে খেতাব: লা লিগা (১৯৭৭), কোপা দেল রে (১৯৭৬, ৮৫, ৮৮, ৯২),
ইন্টারকন্টিনেন্টাল (১৯৭৪), সুপারকোপা (১৯৮৫), সেগুন্ডা (২০০২),
ইবেরিয়ান কাপ (১৯৯১), ইউরো কাপ (২০০৮)। |
|
|
|
|
|
|