|
|
|
|
বিদ্যুৎ সঙ্কট, আপ বলল অমূলক |
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি
১ ফেব্রুয়ারি |
এমনিতেই দুর্নীতিবাজ নেতাদের তালিকা প্রকাশ করে আম আদমি পার্টি এখন কংগ্রেস থেকে সমাজবাদী পার্টি প্রায় সব রাজনৈতিক দলগুলির তোপের মুখে। বিজেপি-র প্রাক্তন সভাপতি নিতিন গডকড়ি আবার হুমকি দিয়েছেন, অবিলম্বে ক্ষমা না চাইলে মানহানির মামলা করা হবে। এ নিয়ে তিনি উকিলের চিঠিও পাঠিয়েছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে। এরই মধ্যে আপ নেতা যোগেন্দ্র যাদবের এক মন্তব্য বিতর্কের তালিকায় যোগ করেছেন নতুন প্রসঙ্গ। তাঁর মতে, খাপ পঞ্চায়েত থাকা উচিত সব জনগোষ্ঠীতে। তবে দেশের আইন মেনেই চলা উচিত তাদের। বিভিন্ন মহল থেকে এর সমালোচনা শুরু হয়েছে। তবে এ সব ছাপিয়ে আপ সবচেয়ে বেশি চাপে পড়েছে দিল্লিতে বিদ্যুৎ সঙ্কটের আশঙ্কা নিয়ে। ক্ষমতায় এসেই বিদ্যুতের দাম অর্ধেক করে দিলেও, গত কালই ৮ শতাংশ সারচার্জ বাড়িয়ে দিয়েছে দিল্লি বিদ্যুৎ নিয়ন্ত্রণ কমিশন। আম আদমিকে সুরাহা দেওয়ার চেষ্টা এ ভাবে ভেস্তে যাওয়ায় আজ তীব্র ক্ষোভ জানান দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। এরই মধ্যে নতুন সমস্যা তৈরি হয়েছে সরকারি বিদ্যুৎ উৎপাদন সংস্থা এনটিপিসি-র নোটিসে। রাজধানীর বিদ্যুৎ বণ্টনকারী সংস্থাগুলির বক্তব্য, রাজধানীর একটা বড় অংশ দিনে ৮-৯ ঘণ্টা করে বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে এনটিপিসি-র ওই নোটিসে। যাতে বলা হয়েছে, বকেয়া না মেটানোয় তারা রাজধানীতে বিদ্যুৎ বণ্টনকারী তিন সংস্থার অন্যতম রিল্যায়্যান্সের বিএসইএস (রাজধানী)-কে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা স্থগিত রাখবে ১১ তারিখ থেকে। ৩ মাসে বকেয়া না মেটালে তাদের বিদ্যুৎ কেনার অনুমতি বাতিল করতে পারবে এনটিপিসি।
দিল্লি সরকারের পক্ষ থেকে অবশ্য জানানো হয়েছে, বিস্তীর্ণ এলাকা প্রতি দিন বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়ার আশঙ্কা অমূলক। সরকার বিষয়টির উপর কড়া নজর রাখছে। বিরোধীদের সমস্ত অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। বিদ্যুতের প্রশ্নে বিরোধীদের এক ইঞ্চি জমি ছাড়তে নারাজ কেজরিওয়ালের দাবি, “অযথা আতঙ্কিত হবেন না। রাজধানীতে কোনও বিদ্যুৎ ঘাটতি হবে না। আমি বণ্টন সংস্থাগুলিকে সাবধান করে দিয়েছি যাতে তারা এ ভাবে আতঙ্ক না ছড়ায় এবং ভবিষ্যতে তা করলে কড়া শাস্তিমূলক পদক্ষেপ করা হবে।”
ক্ষমতায় এসেই কেজরিওয়াল সরকার যখন বিদ্যুতের বিল অর্ধেক করার সিদ্ধান্ত নেয়, সে সময়েই ওই সিদ্ধান্তের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছিল বণ্টনকারী সংস্থাগুলি। তাদের বক্তব্য ছিল, এমনিতেই সংস্থাগুলি ক্ষতিতে চলছে। বিদ্যুতের মাসুল কমিয়ে দিলে আরও ক্ষতির মুখে পড়বে তারা। সেই আপত্তি উড়িয়ে দেয় আপ সরকার। বরং বেসরকারি বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থাগুলি কারচুপি করছে বলে অভিযোগ থাকায় সিএজি (কন্ট্রোলার অব অডিটর জেনারেল)-কে দিয়ে সেগুলির হিসেব পরীক্ষা করানোর নির্দেশ দেন কেজরিওয়াল। সেই হিসেবনিকেষ হওয়ার আগেই বকেয়া নিয়ে সমস্যায় এই বিদ্যুৎ সঙ্কট তৈরি হওয়ায় চাপ বাড়ল আপ সরকারের উপরে। বিজেপি শিবিরের অভিযোগ, কেজরিওয়াল প্রশাসনের অপদার্থতার কারণেই ভুগতে হবে দিল্লিবাসীকে।
সারচার্জ বাড়ানো নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী সমালোচনার জবাবে দিল্লি বিদ্যুৎ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (ডিইআরসি)-এর বক্তব্য, বিদ্যুৎ বণ্টনকারী সংস্থাগুলির ভাঁড়ার খালি। তাই সরকারের কাছে অবিলম্বে আর্থিক সাহায্যের আর্জি রাখা হয়েছিল। কিন্তু সরকার সাড়া না দেওয়ায় বাধ্য হয়ে সারচার্জ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয় সংস্থাগুলি। একতরফা ভাবে সংস্থাগুলির এ ভাবে দাম বাড়ানোর পিছনে রাজনৈতিক চক্রান্ত রয়েছে বলেই মনে করছে আপ।
মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়ালের প্রশ্ন, “টাকা তা হলে গেল কোথায়? আশা করছি সিএজি রিপোর্ট পেশ করলেই স্পষ্ট হবে সংস্থাগুলির প্রকৃত আর্থিক পরিস্থিতি সত্যিই কতটা খারাপ। |
|
|
|
|
|