অন্ধকারের সুযোগে বহুতল অফিসবাড়িতে ঘুরে বেড়াচ্ছিল এক যুবক। লোকজন দেখতে পেয়েই মিটার ঘরে গা-ঢাকা দেয় সে। এর পর তা নিয়েই শুরু হয়ে যায় হৈচৈ। চিৎকার শুনে চলে আসে রাস্তায় থাকা টহলদারি পুলিশ। খবর যায় বৌবাজার থানায়। তবে, পুলিশ এসে প্রথমে ওই মিটার ঘরে কাউকে খুঁজে পায়নি। এর পর চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউয়ের ওই বহুতলে তল্লাশি চালিয়ে ছ’তলার একটি শৌচাগারের ভিতর থেকে ধরা হয় ওই যুবককে। তল্লাশি চালিয়ে তার পিঠের ব্যাগ থেকে মেলে দেশি রিভলভার, গ্যাস-কাটার, ছোট ইনভার্টার, করাত ও হাতুড়ি। গ্রেফতার করা হয় ওই যুবককে। |
পুলিশ জানায়, ধৃত প্রভাস সরকারের বাড়ি দক্ষিণ ২৪ পরগনার ঝড়খালিতে। শুক্রবার সন্ধ্যায় জীবনপ্রকাশ নামে ওই বহুতলে তাকে ঘুরে বেড়াতে দেখেন ওই বহুতলের অফিসকর্মীরা। পরে তাকে অফিসবাড়ির মিটারঘরে ঢুকতে দেখে সন্দেহ হয় সবার। পুলিশের দাবি, রাতে ওই অফিসবাড়িতে চুরি করার পরিকল্পনা করে ওই বহুতলে লুকোতে যায় সে। তার সঙ্গে আরও দু’জন জড়িত বলে জেনেছে পুলিশ। তাদের খোঁজ চলছে।
ওই বহুতলে জীবন বিমা নিগম, দু’টি ব্যাঙ্কের শাখা ও কিছু অফিস আছে। জীবন বিমা ও অন্য অফিসগুলি শনিবার বন্ধ থাকে। জেরায় প্রভাস স্বীকার করে, শুক্রবার রাতে ওই অফিসগুলিতে চুরির পরিকল্পনা ছিল। শনিবার ব্যাঙ্ক বন্ধ হলে সেখানেও চুরির পরিকল্পনা ছিল অনুমান পুলিশের। তাই সে গ্যাস-কাটার, ছোট ইনভার্টার, করাত ও হাতুড়ি নিয়ে ঢোকে।
লালবাজার সূত্রের খবর, প্রভাসের মোবাইল ঘেঁটে তার দুই শাগরেদের নম্বর মিলেছে। গোয়েন্দাদের দাবি, প্রভাস একটি চক্রের সঙ্গে জড়িত। ওই চক্র কলকাতা-সহ নানা এলাকায় ওই কায়দায় অপারধ করছে বলে পুলিশের দাবি।
গোয়েন্দারা জানান, মাসখানেক আগে শিয়ালদহের একটি ব্যাঙ্কে একই কায়দায় চুরি হয়। ব্যাঙ্কের সিসিটিভি-তে ধরা পড়া দুষ্কৃতীর ছবির সঙ্গে প্রভাসের মুখের মিল রয়েছে। তবে সে প্রভাসই কি না, সে বিষয়ে নিশ্চিত নন গোয়েন্দারা। |