বছরের প্রথম মাসটিও ভাল গেল না গাড়ি শিল্পের পক্ষে। বিক্রি কমেছে দেশের বৃহত্তম তিন গাড়ি নির্মাতা মারুতি সুজুকি, হুন্ডাই এবং টাটা মোটরসের। কম গাড়ি বিক্রি হয়েছে টয়োটা কির্লোস্কর ও মহীন্দ্রা অ্যান্ড মহীন্দ্রারও। তবে এর মধ্যেই নয়া হোন্ডা সিটি এবং অ্যামেজ-এর হাত ধরে বিক্রি প্রায় তিন গুণ বাড়াতে সক্ষম হয়েছে হোন্ডা কারস। বিক্রি বেড়েছে ফোর্ড ইন্ডিয়ারও।
দেশের বাজারে গত মাসে বৃহত্তম গাড়ি নির্মাতা সংস্থা মারুতি সুজুকির বিক্রি কমেছে ৬.৩%। দাঁড়িয়েছে ৯৬,৫৬৯টিতে। অন্য দিকে, টাটা মোটরসের সামগ্রিক বিক্রিও ৩৪% কমে হয়েছে ৪০,৪৮১। পাশাপাশি, অন্যতম গাড়ি সংস্থা হুন্ডাই মোটর ইন্ডিয়ারও বিক্রি নেমেছে ২.৬%। হয়েছে ৩৩,৪০৫। একই ছবি দেখা গিয়েছে মহীন্দ্রা অ্যান্ড মহীন্দ্রা (বিক্রি কমেছে ১৫.৭১%) ও টয়োটা কির্লোস্করের (নেমেছে ১৮.১৪%) ক্ষেত্রেও।
মহীন্দ্রার সিইও প্রবীণ শাহ বলেন, সামগ্রিক ভাবে দেশের গত মাসে গাড়ি শিল্পে কোনও উন্নতি লক্ষ্য করা যায়নি। পুরো শিল্পকেই এখনও মন্দা ঘিরে রয়েছে। পাশাপাশি, রুজার্ভ ব্যাঙ্কের রেপো রেট বাড়ানোর প্রভাবে গাড়ি ঋণে সুদের হার বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তিনি। সব মিলিয়ে আগামী সপ্তাহে নয়াদিল্লির অটো এক্সপো-র দিকেই তাকিয়ে রয়েছে এই শিল্প। শাহের মতে, সেখানে নয়া প্রযুক্তি এবং বিভিন্ন সংস্থার নতুন গাড়ি কিছুটা হলেও সাধারণ মানুষের মনে উৎসাহ তৈরি করতে পারে।
অবশ্য এরই মধ্যে বিক্রি বাড়াতে সক্ষম হয়েছে হোন্ডা কারস ইন্ডিয়া এবং ফোর্ডের মতো সংস্থা। বিশেষত নয়া হোন্ডা সিটি এবং অ্যামেজ গাড়ি দু’টির চাহিদা এই মুহূর্তে খুবই ভাল বলে জানিয়েছেন সংস্থার সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট জ্ঞানেশ্বর সেন। যার সাহায্যে জানুয়ারিতে তাদের গাড়ি বিক্রি তিন গুণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৫,৭১৪টিতে। একই চিত্র দেখা গিয়েছে ফোর্ডের ক্ষেত্রেও। সংস্থাটির বিক্রি বেড়ে হয়েছে ৬,৭০৬। যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ১০.৬২% বেশি।
অন্য দিকে, গত মাসে ভাল ফল করেছে দ্বিচক্রযান নির্মাতা সংস্থাগুলি। হোন্ডা মোটরসাইকেল ও ইয়ামাহা মোটরের বিক্রি বেড়েছে যথাক্রমে ৪৯.৬৯% এবং ৬.৫%। সামান্য বেশি গাড়ি বিক্রি হয়েছে টিভিএস মোটরেরও। বাণিজ্যিক গাড়ি সংস্থাগুলির মধ্যে বিক্রি বেড়েছে মহীন্দ্রা ট্র্যাক্টরের। |