এক প্লাইউড কারখানার বয়লার ফেটে এক শ্রমিকের মৃত্যু হল। জখম সাত জন। ইংরেজবাজার থানার নিয়ামতপুরের ভর্তিটারিতে বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে দশটা নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃত শ্রমিকের নাম নিরঞ্জন রজক (৪৬)। জখম রববুল শেখ আর গোপাল ঘোষের অবস্থা সঙ্কটজনক। ঘটনার পর পুলিশ প্লাইউড কারখানাটি বন্ধ করে দেয়। ঘটনাটি খতিয়ে দেখতে শ্রম দফতর তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে।
শুক্রবার মালদহের পুলিশ সুপার কল্যাণ মুখোপাধ্যায় বলেন, “এখনও পর্যন্ত মৃত শ্রমিকের পরিবারে তরফে কোনও অভিযোগ জানানো হয়নি। সে কারনে দমকল ও ইংরেজবাজার থানা কারখানাটির মালিকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে।” শ্রম দফতরের উপ-অধিকর্তা (বয়লার) প্রশান্ত ভট্টাচার্য এ দিন বলেন, “ঠিক কী কারণে বয়লার ফাটল তা দেখতে তদন্ত নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বয়লারটির যান্ত্রিক ত্রুটি ছিল কি না, বা বয়লায়টি ঠিকমত চালানো হয়েছিল কি না দেখা হচ্ছে। কতৃর্পক্ষর গাফিলতি ধরা পড়লে মালিকের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রয়োজনে কারখানা বন্ধ করা হবে।” |
কারাখানাটির লাগোয়া ভর্তিটারির বাসিন্দা সীমা সরকার, অনিতা মণ্ডল বলেন, “রাতে হঠাৎ বিকট শব্দে বাড়ি কেঁপে ওঠে। তাড়াহুড়ো করে বেরিয়ে দেখি প্লাইউডের কারাখানায় আগুন জ্বলছে। গ্রামবাসীরা জখম শ্রমিকদের উদ্ধার করে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। বিস্ফোরণের তীব্রতায় কারখানার টিনের চালাগুলি ৪০০ মিটার দূরে আমবাগানে পড়ে। ফেটে যাওয়া বয়লারের আশেপাশে এলাকা পুড়ে যায়। কারখানার শ্রমিক গৌরাঙ্গ বসাক, ক্ষুদিরাম ঘোষ বলেন, “কারখানায় ২৫০ শ্রমিক কাজ করে। রাত আটটা বেশির ভাগ শ্রমিক কাজ শেষে বাড়ি চলে গিয়েছিল।আটটার পর প্রায় দিন কারখানা বন্ধ হয়। কিন্তু সে দিন সাড়ে দশটা পর্যন্ত কারখানা চলে। ২৪-২৫ জন ছিলেন। দিনে বা সন্ধ্যায় ঘটলে আরও মারাত্মক হত।”
কারখানার মালিক গোবিন্দ দত্ত এ দিন বলেছেন, “কিছুই বুঝতে পারিনি। ঘটনার সময় আমি কারখানার ভিতরেই ছিলাম। অল্পের জন্য বেঁচে গিয়েছি।” নির্ধারিত সময়ের পরে কেন কারখানা চালু রাখা হয়েছিল, তার কোনও সুদুত্তর দিতে পারেনি গোবিন্দবাবু। |