ব্রিগেডে জনসভা থেকে ফেরার পথে পথ দুর্ঘটনায় আহত হলেন ৪৫ জন তৃণমূল কর্মী। বৃহস্পতিবার রাত ১২টা নাগাদ ব্রিগেড থেকে তৃণমূল কর্মীদের নিয়ে ফেরত আসা একটি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মানবাজার পোস্ট অফিস মোড়ে রাস্তার পাশে থাকা একটি লরিকে ধাক্কা মারে। লরিটি সামনে দাঁড়িয়ে থাকা একটি মিনিবাসকে ধাক্কা মারে। এই দুর্ঘটনার জেরে তিনটি গাড়ি কমবেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। রাতেই স্থানীয় বাসিন্দা ও পুলিশ আহতদের মানবাজার গ্রামীণ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করে। ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, ব্রিগেড ফেরত বাসের সামনের অংশ লরির পিছনে ঢুকে গিয়েছে। লরিটি একটি বাড়ির বারান্দা ভেঙে আটকে গিয়েছে।
পোস্টঅফিস মোড়ের বাসিন্দা গুণধর হালদার বলেন, “বিকট শব্দে ঘুম ভেঙে যায়। বাইরে বেরিয়ে দেখি দরজার মুখে একটি লরি। তার পিছনে ধাক্কা মেরেছে একটি বাস। সামনে দাঁড়িয়ে থাকা মিনিবাসটি একটি বিদ্যুতের খুঁটিতে ধাক্কা মেরেছে।” মানবাজারের ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক অরুনাভ ঘোষ বলেন, “একজন ভর্তি আছেন। আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।”
এ দিকে, ব্রিগেডের সভায় গিয়ে মানবাজার থানা এলাকার এক বৃদ্ধা নিখোঁজ হয়েছেন। শুক্রবার বিকেল পর্যন্ত তাঁর খোঁজ মেলেনি। ফুদুনবালা মাহাতো নামের ওই বৃদ্ধার বাড়ি মানবাজার থানার জনড়া গ্রামে। তাঁর স্বামী মনসারাম মাহাতো বলেন, “বুধবার রাতে গ্রামের আরও অনেকের সঙ্গে আমরা সপরিবারে ব্রিগেডের সভায় গিয়েছিলাম। বৃহস্পতিবার সকালে আমরা শহীদ মিনারের তলায় খাওয়াদাওয়া করছিলাম। সেই সময় আমার স্ত্রী ফুদুনবালা সামনের হোটেলে খেতে বেরিয়ে আর ফেরেনি।” মনসারামের ভাইপো দীপঙ্কর মাহাতোর অভিযোগ, “সে দিন সন্ধ্যা পর্যন্ত কাকিমার খোঁজ না পেয়ে আমরা ময়দান থানায় যাই। তারা নিখোঁজের ডায়েরি না নিয়ে উল্টে আরও খোঁজ করতে বলে।” ফুদুনবালাদেবীর ছেলে দীপক বলেন, হয়তো অন্য গাড়িতে চড়ে তাঁর মা ফিরে এসেছেন, এই ভেবে তাঁরা বাড়ি ফিরে যান। কিন্তু বাড়ি ফিরে দেখেন ফুদুনবালাদেবী আসেননি। তৃণমূলের পরিবহণ শ্রমিক সংগঠনের মানবাজার ব্লক সভাপতি জয়দেব চক্রবর্তী বলেন, “ওই বৃদ্ধার খোঁজে বিভিন্ন থানায় আর্জি জানানোর পাশাপাশি আমরা দলীয় ভাবে তাঁর সন্ধান চালাচ্ছি।” |